শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার এক সাংবাদিকও রয়েছেন। খবর: আল-জাজিরা।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি জানায়, নিহতদের ২০ জন খান ইউনিসের বাসিন্দা। খান ইউনিস ছাড়া মধ্য ও উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১৬ জন, যাদের মধ্যে ৬টি শিশু।
আল-জাজিরার নিহত সাংবাদিকের নাম হোসাম শাবাত। তিনি বাইত লাহিয়ায় সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হন তিনি। আরও বেশ কয়েকজন ওই হামলায় আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে। মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় এ নিয়ে দুজন সাংবাদিকের মৃত্যু হলো। এর আগে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্যালেস্টাইন টুডের সাংবাদিক মোহাম্মাদ মনসুর। খান ইউনিসে একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রাণ হারান তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে ২০৮ গণমাধ্যমকর্মীর মৃত্যু হলো। সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস। সংগঠনটির নির্বাহী প্রধান জোডি গিন্সবার্গ বলেন, সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ। এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বিপরীতে ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার সাংবাদিক নিহত হওয়ার দায় হোয়াইট হাউস হামাসের কাঁধে দিয়েছে।
গত সোমবার গাজার আল-নাসের হাসপাতালেও বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। হামাস নেতা ইসমাইল বারহৌমকে হত্যা করতে হাসপাতালটিকে টার্গেট করে তারা। ২১ দিন ধরে উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন। চিকিৎসা সরঞ্জাম, জ্বালানি সংকট আর হামলার তীব্রতায় উপত্যকাজুড়ে সব হাসপাতালে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন থেকে আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় যে পরিমাণ মানুষ হতাহত হচ্ছে, সে তুলনায় চিকিৎসাসেবা দেয়ার সক্ষমতা নেই হাসপাতালগুলোর। উল্লেখ্য, প্রায় এক মাসের যুদ্ধবিরতির পর গত ১৮ মার্চ থেকে অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এই এক সপ্তাহে প্রাণ গেছে ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনির। মোট নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
