গাজার হাসপাতালে খাওয়ার পানি নেই

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের অভিযানের অংশ হিসেবে উত্তর গাজার আল-আওদা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে হাসপাতালে খাওয়ার পানি শেষ হয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা কাউকে হাসপাতাল থেকে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। খবর: আল জাজিরা।

উত্তর গাজায় এখনও কার্যক্রম চালু রয়েছে এরকম অল্প কয়েকটি হাসপাতালের অন্যতম আল আওদা।

মানবিক সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, এই হাসপাতালে খাওয়ার পানি ফুরিয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ৩৪ জন আহত রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।

চিকিৎসাকর্মীদের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গত রোববার থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হাসপাতালের দিকে কামানের গোলা ছুঁড়তে শুরু করে। এরপর সেনাবাহিনী এসে পুরো হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। এজেন্সি আরও জানায়, হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় বুলডোজার চালিয়েছে ইসরায়েল।

চলমান হামলার ফলে হাসপাতাল থেকে কোনো চিকিৎসাকর্মী বা বেসামরিক মানুষ বের হতে পারছেন না। নতুন করে কাউকে সেখানে ঢুকতেও দেয়া হচ্ছে না।

খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালেও পানি শেষ হয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজার ২১টি হাসপাতাল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ১৫টি হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে।

আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে উত্তর গাজার ২টি, গাজা সিটির ৫টি, দেইর আল বালাহ’র ৩টি, খান ইউনিসে ৩টি ও রাফায় ২টি হাসপাতাল।

ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস তাদের অস্ত্র রাখার ও হামলা চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে হামাস ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

হামাসের পক্ষ থেকে সামরিক কাজে হাসপাতাল ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে।