গাজীপুরে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ র‌্যালি

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যমুনা টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক রকি হোসেনসহ একাধিক সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গাজীপুর প্রেসক্লাবের ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৮ মে) বেলা ১২টায় গাজীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, রিপোর্টার, ফটোজার্নালিস্ট, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ র‌্যালি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহ সামসুল হক রিপন।

বক্তারা বলেন, “একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার ও সংবাদপত্রের মুক্তচিন্তার ওপর সরাসরি আঘাত। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

বক্তব্য রাখেন-গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির আহমেদ,সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম দেলোয়ার হোসেন,সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল বারী বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম মাসুম, মুজিবুর রহমান, আলমগীর হোসেন, রুহুল আমীন সজীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী, বাংলাভূমির সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজহার,ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক মাহসুদা সিকদার, দ্য ডেইলি স্টারের মঞ্জুরুল করিম প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ গাজীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ সংগ্রহ করে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

গত শনিবার (১৭ মে) গাজীপুরের কাপাসিয়ার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগআলী এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে যমুনা টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক রকি হোসেন (২৬), পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য খোরশেদ আলমসহ অন্তত ১২ জন আহত হন।

সংঘর্ষ চলাকালে সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় রকি হোসেন গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে তিনি উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাংবাদিকরা আরো জানান, একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের প্রতি এমন সহিংসতা যেন আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসন ও সরকারকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে।