শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে আমাজনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট দেশ গায়ানার তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল এসেকুইবো দখলে নিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভেনেজুয়েলা। এজন্য গত রোববার একটি গণভোটের আয়োজন করে দেশটি। খবর: বিবিসি।
ভেনেজুয়েলার ৯৫ শতাংশ মানুষ এসেকুইবোকে ভেনেজুয়েলার নতুন একটি অঙ্গরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
গায়ানা ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে এসেকুইবো নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা বাড়ছে। এসেকুইবোর আয়তন এক লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটারের মতো। সেখানে আট লাখ নাগরিকের বসবাস। ১৮৯৯ সালে আন্তর্জাতিক আদালত জায়গাটিকে গায়ানার ঔপনিবেশিক শাসক ব্রিটেনের কাছে হস্তান্তর করে। ওই সময় জায়গাটি ব্রিটিশ গায়ানা নামে পরিচিত পায়।
পরে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অঞ্চলটিতে তেল অনুসন্ধান করতে গেলে বিরোধ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বর্তমানে বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে তুলেছে গায়ানা।
এদিকে ১৯৬৬ সালে ব্রিটেন ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া চুক্তি অনুযায়ী গায়ানা স্বাধীনতা লাভ করে। তবে ভেনেজুয়েলা বরাবরের মতো ওই এলাকার দাবি করে আসছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো গণভোটের ফলাফলকে ভেনেজুয়েলার জন্য অপ্রতিরোধ্য বিজয় বলে স্বাগত জানিয়েছেন।
২০১৫ সালে গায়ানার উপকূলে ১১ বিলিয়ন (এক হাজার ১০০ কোটি) ব্যারেল তেলের মজুত পাওয়া গেছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। ফলে আট লাখ জনসংখ্যা-অধ্যুষিত দেশ গায়ানা বিশ্বের নতুন পেট্রোরাষ্ট্র হতে যাচ্ছে।
গায়ানায় তেলের উৎপাদন বাড়ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যা দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল উন্নীত হতে পারে। এই পরিমাণ হবে বৈশ্বিক সরবরাহের ১ দশমিক ১ শতাংশ। সেটা হলে মাথাপিছু তেল উৎপাদনের দিক থেকে গায়ানা বিশ্বের বাকি সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে।
তেল থেকে ২০৩৬ সাল নাগাদ গায়ানা সরকারের রাজস্ব আয় বার্ষিক ১৬ বিলিয়ন বা এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে, যা প্রাক্?-তেলযুগের জিডিপির দ্বিগুণ। আশা করা হচ্ছে, এতে গায়ানার মানুষের জীবন বদলে যাবে।