গুরুদাসপুরে ৩০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ভরসা বাঁশের সাঁকো

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার সাবগাড়ি পয়েন্টে একটি সেতুর অভাবে ভাঙা বাঁশের সাঁকো (মাঝেমধ্যে নৌকার সাহায্যে) দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে।

চলনবিলের সাবগাড়ি পয়েন্ট দিয়ে ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। এ এলাকায় সেতু না থাকায় এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো বানিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সাঁকোটি প্রতিবছর সংস্কার করতে হয়। বর্তমানে সংস্কার না করায় সাঁকোর বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। শিশুরাও ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় ডা. আশরাফুল ইসলাম জানান, সাবগাড়ি বাজার সংলগ্ন নদীতে একটি সেতু অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র গুরুদাসপুর উপজেলা হওয়ায় নদীর এপার ও ওপার সাবগাড়ির খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের জমির ফসল পারাপার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হওয়া যায় না। তাই এখানে একটি সেতু খুবই প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, নদীর পানি কমতে থাকায় খেয়াঘাটের নৌকাটি অচল হয়ে গেছে। তাই গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। সেখানকার খেয়াঘাটের মাঝি খোকন ওই বাঁশের সাঁকো দেখাশোনা ও সংস্কারের দায়িত্বে আছেন। গ্রামবাসীর জমির ধান ও টাকা নিয়ে সাকোতে মানুষ পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। এ ব্যাপারে বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।