নিজস্ব প্রতিবেদক: রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে দেশে উৎপাদিত গৃহস্থালি খাতে ব্যবহার উপযোগী বৈদ্যুতিক পণ্য রফতানির বিপরীতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজীকরণ পণ্যের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এ ধরনের পণ্য রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিদেশি মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের কাছে পাঠানো ওই পরিপত্রে বলা হয়, নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত কনজুমার ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে নিট এফওবি মূল্যের ১০ শতাংশ হারে রফতানি ভর্তুকি দেওয়া হবে। তবে বিশেষায়িত অঞ্চলে (ইপিজেড, ইজেড) অবস্থিত প্রতিষ্ঠানকে এ সুবিধা দেওয়া হবে না।
কনজুমার ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ হতে হবে। এক্ষেত্রে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক বা শুল্ক বন্ড সুবিধা একসঙ্গে প্রযোজ্য হবে না।
রফতানি ভর্তুকির আবেদনপত্র দাখিলের শর্তের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভর্তুকির আবেদনপত্র বিদেশে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নস্ট্রো হিসাবে রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসনের তারিখের ১৮০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় দাখিল করতে হবে। রফতানির প্রয়োজনীয় দলিলাদি যেমন জাহাজীকরণের প্রমাণস্বরূপ পরিবহন কর্তৃপক্ষের ইস্যু ও প্রত্যয়ন করা বিল অব লেডিং বা এয়ারওয়ে বিল, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, বিল অব এক্সপোর্টের (শুল্ক কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ও পরীক্ষিত এবং পণ্য জাহাজে ওঠানোর সপক্ষে পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন করা) পূর্ণাঙ্গ সেট প্রভৃতি দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি আলোচ্য পণ্য রফতানি হয়েছে কি না, তা সরেজমিনে যাচাইপূর্বক (ফিজিক্যাল ভ্যারিফিকেশন) সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখা কর্তৃক আবেদনপত্র গ্রহণ, পরীক্ষণ ও পরিশোধ নিষ্পত্তি: রফতানি ভর্তুকির আবেদন ফরমের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে যেসব কাগজপত্র, সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্রের উল্লেখ আছেÑসেগুলো সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ আকারে আবেদনের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়ে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক প্রাথমিক পরীক্ষণে নিশ্চিত হবে। ভর্তুকির আবেদনপত্রের সঙ্গে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো হতে সংযোজিত ছক (ফরম ‘খ’) মোতাবেক সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনের পর অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে রফতানি ভর্তুকি বাবদ অর্থের দাবি প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়কৃত ভর্তুকি আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। এ তথ্য পরবর্তী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগে দাখিল করতে হবে।
ভর্তুকি পরিশোধ নিষ্পত্তি-সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনের অথবা সরকারি বাণিজ্যিক নিরীক্ষা বিভাগের পরীক্ষণের জন্য পরিশোধের তারিখ হতে ন্যূনতম তিন বছর পর্যন্ত শাখায় সংরক্ষণ করতে হবে।
বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তুকি পরিশোধ করা হলে পরিশোধ করা অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত পরিশোধকারী ব্যাংকের হিসাব বিকলনপূর্বক আদায় করা হবে। সরকারি বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে ছাড় করা তহবিল হতে ভর্তুকি বাবদ দাখিল করা আবেদনের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অনুকূলে এ অর্থ প্রদান করা হবে।

Print Date & Time : 20 July 2025 Sunday 5:36 pm
গৃহস্থালির বৈদ্যুতিক পণ্য রফতানিতে ১০% ভর্তুকি
পত্রিকা ♦ প্রকাশ: