গ্যাসের ঘাটতি থাকতে পারে দেড় মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরবরাহকারী জাহাজের মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় এলএনজি সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ত্রুটি সারাতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এতে ওই পর্যন্ত সারাদেশে গ্যাস ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

প্রসঙ্গত, মুরিং হলো এমন স্থায়ী কাঠামো, যেখানে কোনো জাহাজ বাঁধা অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে। এ লাইন ছিঁড়ে গেলে জাহাজ থেকে জাহাজে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হয়।

জানা যায়, সামিট এলএনজি টার্মিনালের একটি মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় জাহাজ থেকে জাহাজে এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে না। ফলে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে। আগামী বছর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ ত্রুটি মেরামত বা পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে এলএনজি থেকে প্রতিদিন ৫৬০ থেকে ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

এদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

এখন দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এর মধ্যে ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা গ্যাস সরবরাহ করা হয়। আর বাকিটা দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন হয়।