গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ মার্চ।

এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ১১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৩ টাকা ১৮ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৯৮ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ৯৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৯৪ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮ টাকা ৪৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৩২ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৩২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৯৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৬৬ হাজার ৯৯৭টি শেয়ার মোট ২০৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪১ টাকা থেকে ৭২ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।