প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম): চট্টগামের মীরসরাইয়ে শীত ও কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এতে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
মীরসরাই উপজেলা, করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, দুর্গাপুর, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালীসহ উপজেলায় বোরো আবাদ করতে ১৪০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় এসব বীজতলার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ১৪০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে, যা গত বছর থেকে ১৫ হেক্টর জমিতে বেশি বীজতলা তৈরি হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শীত ও কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। সবুজ বীজতলা এখন ফ্যাকাশে, লালচে ও পচে নষ্ট হওয়ায় চরম লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। কোনো কোনো স্থানে ধানের বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই পচে যাচ্ছে।
কৃষকেরা জানায়, বীজতলা রক্ষায় বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকনাশক ছিটিয়েও ফল পাচ্ছেন না। এমনকি প্রতিদিন কুয়াশার পানি আলাদা করেও রক্ষা হচ্ছে না বীজতলা।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের বোরোচাষি মো. ইউসুফ বলেন, অতিরিক্ত কুয়াশা ও শীতের কারণে তাদের বেশির ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর সময় নেই পুনরায় বীজতলা করে আবাদ করার।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, বোরো বীজতলা শীত ও কুয়াশায় ক্ষতির সম্মুখীন হলে সেচ দিয়ে সারাদিন ভিজিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পানি ছেড়ে দিতে হবে। এতে বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়বে না বলে জানান। তিনি আরও
বলেন, শুকনো স্থানে বীজতলা করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি।
