Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 1:51 am

ঘাটতি সমন্বয়ে ৫ মাস সময় পেয়েছে ফারইস্ট স্টকস

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউস ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ঘাটতি সমন্বয়ে সময় বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি চিঠি ডিএসই ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে বিএসইসি।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটি সময় বৃদ্ধির জন্য ডিএসইর কাছে আবেদন করে। পরে বিষয়টি বিএসইসিকে জানায় ডিএসই। সেই আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ করে বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ফারইস্ট স্টকসের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা ঘাটতি সমন্বয় করার জন্য পাঁচ মাসের সময় অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত অনুমতি দেয়ার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয়া হলো। সে সঙ্গে এ বিষয়ে বিএসইসি নীতিগত সম্মতি দিচ্ছে।

এছাড়া ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলকে প্রাসঙ্গিক সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির প্রাসঙ্গিক নবায়নের আবেদন বিএসইসির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ১৮৬টি ব্রোকারেজ হাউসের দাখিল করা নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে ১৮টি ব্রোকারেজ হাউস তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের অর্থ আইনবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পায় ডিএসই।

পরবর্তী সময়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সার্বিক আর্থিক অবস্থা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে ডিএসই। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত গ্রাহকদের হিসেবে আরও সিকিউরিটিজ (শেয়ার) ঘাটতি রয়েছে কিনা, তাও যাচাই করা হয়। আর ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রির প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করে বিএসইসিকে অবহিত করে ডিএসই। আর প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ওপর প্রচলিত ব্যাংক রেটে সুদ আদায় করে গ্রাহকদের হিসাবে যথাযথভাবে জমা করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

ডিএসই সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোম্পানির (ট্রেক-১৭১) সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ১৩ কোটি টাকার ঘাটতি পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও ৬টি ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকা ঘাটতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে এম সিকিউরিটিজে ১০ কোটি টাকা, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, বালি সিকিউরিটিজে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা, ডিএমআর সিকিউরিটিজ সার্ভিসের ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজের ১০ লাখ ৩০ হাজার ও শার্প সিকিউরিটিজের ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা।