ঘূর্ণিঝড় হার্ভির প্রভাব কমেছে তেলের দর, ঊর্ধ্বমুখী গ্যাসোলিনের বাজার

শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উপকূলে আঘাত হানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হার্ভির প্রভাব পড়েছে দেশটির জ্বালানি খাতে। হার্ভি-পরবর্তী টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যার আশঙ্কায় স্থানীয় খনিগুলো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাস উত্তোলন মারাত্মকভাবে কমে গেছে। দেশটির এক-চতুর্থাংশ পরিশোধক কোম্পানির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এর জের ধরে দেশটিতে বেড়েছে জ্বালানিপণ্য গ্যাসোলিনের দাম। তবে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় পণ্যটির দাম কিছুটা কমেছে। খবর রয়টার্স।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) বুধবার সেপ্টেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি গ্যালন গ্যাসোলিন বিক্রি হয় এক দশমিক ৮৩৮০ ডলারে, যা আগের দিনের তুলনায় তিন শতাংশ বেশি। এদিন লেনদেনের শুরুতে পণ্যটির দাম গ্যালনপ্রতি এক দশমিক ৪৮২ ডলারে পৌঁছায়। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাইয়ের পর এটিই পণ্যটির সর্বোচ্চ দর।
যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ জ্বালানি সরবরাহের সিংহভাগই আসে  মেক্সিকো উপসাগর ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে। এ অঞ্চলেই ঘণ্টায় ১৩০ মাইল গতিবেগে আঘাত হেনেছে ক্যাটাগরি চার মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হার্ভি। যুক্তরাষ্ট্রে গত ১২ বছরের মধ্যে এটিকে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। হার্ভির প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে টেক্সাস উপকূলের জনজীবন। বাদ যায়নি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রমও। মেক্সিকো উপসাগর উপকূলে উত্তোলন ও পরিশোধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাসোলিনের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে পরিশোধক কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। এতে পণ্যটির দামও কিছুটা কমেছে।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে গতকাল বুধবার ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম ৯ সেন্ট কমে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৪৬ ডলার ৩৫ সেন্টে।
অন্যদিকে লন্ডন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ব্যারেলপ্রতি দাম কমেছে ছয় সেন্ট। এদিন এ বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে ৫১ ডলার ৯৪ সেন্টে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টেরিয়র ব্যুরো অব সেফটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল এনফোর্সমেন্টের (বিএসইই) তথ্য অনুযায়ী, হার্ভির প্রভাবে গত কয়েক দিনে স্থানীয় তেল খনিগুলো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমেছে অন্তত ২৫ শতাংশ। আগে এ অঞ্চলের খনিগুলো থেকে দৈনিক গড়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করা হতো। হার্ভির প্রভাবে গত শনিবার স্থানীয় খনিগুলো থেকে পণ্যটির উত্তোলন কমেছে চার লাখ ২৮ হাজার ৫৬৮ ব্যারেল।