Print Date & Time : 23 July 2025 Wednesday 6:55 pm

চট্টগ্রামে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দলের মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। কোতোয়ালি থানা ও ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবার রাতে মামলা দুটি দায়ের করা হয় বলে জানান কোতোয়ালির ওসি নেজাম উদ্দিন। সূত্র: বিডিনিউজ।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত ছাড়াও দক্ষিণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে দুই মামলায়। এর মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কোতোয়ালি থানা পুলিশের করা মামলায় শাহাদাতসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

কাজীর দেউড়ি মোড়ে ট্রাফিক বক্সে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ট্রাফিক বিভাগের একজন সার্জেন্ট বাদী হয়ে অন্য মামলাটি দায়ের করেছেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল মহানগর বিএনপি। সেই সমাবেশে আসা মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়া হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

পরে ঘটনাস্থলে ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনকে তার চেম্বার থেকে আটক করা হয়।

শাহাদাতকে আটক করার পর রাতে তাকে একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানায় পুলিশ। চট্টগ্রাম বিএনপিরই এক নারী নেত্রী এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সোমবার ওই মামলা করেন।

সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ আখ্যায়িত করে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘পরিকল্পনা করে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। যেখানে শিবির কর্মীরাও অংশ নিয়েছিল। অরাজকতা তৈরির জন্য কোনো কারণ ছাড়াই মিছিল থেকে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, ফুটপাতের বিভিন্ন জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাঙচুর শুরু করে।’

অন্যদিকে এ সংঘর্ষের জন্য পুলিশকে দায়ী করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছিলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ‘হামলা চালিয়েছে’।