Print Date & Time : 5 July 2025 Saturday 7:13 pm

চট্টগ্রামে ভ্যাট বুথের সাথে বসছে ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: আগামী ৯-১০ জানুয়ারি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম এর অধিক্ষেত্রাধীন বিভিন্ন মার্কেটে ভ্যাট কর্মকর্তা এবং দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধির সমন্বয়ে ১০টি ‘ভ্যাট বুথ’ এবং উম্মূক্ত স্থানে ৫টি ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ স্থাপনের মাধ্যমে করদাতাদের ভ্যাট সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের সেবা প্রদান করা হবে। ‘ভ্যাট বুথ’ এর পাশাপাশি ইএফডি-কে জনপ্রিয় করা, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন প্রদান, ভ্যাট রিটার্ন দাখিলসহ ভ্যাট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ চট্টগ্রাম ভ্যাটের একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ। শনিবার চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রথম এ দপ্তরের অধিক্ষেত্রাধীন ৫টি জনবহুল স্থানে ভ্যাট স্ট্যান্ড স্থাপন করা হবে। সেগুলো হলো-মুক্ত মঞ্চ (শিশু পার্কের বিপরীতে, আউটার স্টেডিয়াম মাঠ, কাজীর দেউরী, চট্টগ্রাম), সিইপিজেড এর প্রবেশ মুখের বাম পাশে খালি জায়গা, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট আগ্রাবাদ এর সম্মুখ প্রাঙ্গন, জিইসি কনভেনশন সেন্টার এর সামনের খোলা মাঠ এবং হোটেল মোটেল জোন, কলাতলী, কক্সবাজার।

আরো বলা হয়, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ৭টি শপিংমলে ভ্যাট কর্মকর্তা ও মার্কেট প্রতিনিধির সমন্বয়ে ভ্যাট বুথ স্থাপন করা হবে সেগুলো হল-নিউমার্কেট (বিপনী বিতান), জহুর আহমেদ হকার্স মার্কেট, গোলাম রসূল মার্কেট, টেরীবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, সানমার ওশান সিটি ও চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স। পর্যটন শহর কক্সবাজারের আমিরাবাদ, বড়বাজার এবং লোহাগাড়ায়ও ভ্যাট বুথ স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে চান্দগাঁও, পটিয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান বিভাগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় ভ্যাট দপ্তরের হেল্প ডেস্ক থেকে এসব সেবা প্রদান করা হবে। ভ্যাট বুথ ও ভ্যাট স্ট্যান্ডসমূহের কার্যক্রম সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন করদাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০২২ সালের শুরুতেই ভ্যাট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও করদাতাগণদের সেবা প্রদান সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘ভ্যাট বুথ’ এর পাশাপাশি ‘ভ্যাট স্ট্যান্ড’ স্থাপন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরকে নিকটস্থ ভ্যাট বুথ ও ভ্যাট স্ট্যান্ড-এ এসে নিবন্ধন গ্রহণ, রিটার্ন দাখিল ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি চট্টগ্রামবাসীকে যে কোন কেনাকাটায় মূসক চালান বুঝে নেয়ার অনুরোধ করেন। যে সমস্ত দোকানে ইএফডি মেশিন বসানো হয়েছে, সে সকল দোকান থেকে পণ্য ক্রয়ের সময় মূসক চালান সংগ্রহ করলে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারে মূসক জমা নিশ্চিত হয়, অন্যদিকে ক্রেতাদের লটারিতে পুরষ্কার জেতার সম্ভাবনা থাকে বলে জানান তিনি।

###