Print Date & Time : 7 September 2025 Sunday 10:46 pm

চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হতে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অফুরন্ত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এবং নগরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। তার সঙ্গে গতকাল সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। পরে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামে পরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থা এবং মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে কোইকার সহায়তায় সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় প্রায় ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এতে কোরিয়া সরকারের অনুদান ৫১ কোটি টাকা।’

সচিবালয়ে এ বিষয়ে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং কোইকার

প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে কোরিয়া থেকে একটি বিশেষজ্ঞ সার্ভে টিম বাংলাদেশ সফরে এসেছে। দলটি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।’

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের উপস্থিতিতে ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সার্ভে টিম আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে এক রিভিউ সভায় মিলিত হবেন।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীর জন্য একটি সমন্বিত পরিবহন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে, এর পাশাপাশি ম্যাস ট্রানজিট লাইন বা মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নগরীর উন্নয়ন চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে সার্কুলার রোড, রেডিয়াল রোড, মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, বাস টার্মিনালের জন্য স্থান নির্ধারণ, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে কোম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনার সমীক্ষাও সম্পন্ন করা হবে। সেতুমন্ত্রী এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ হবে বলেও আশা করেন।’

ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রামবাসীর সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় কোরিয়া সরকার এবং কোইকা’কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এদিকে, রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন, এ লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হিসেবে মেট্রোরেল প্রকল্প নির্মাণের প্রাথমিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে কোরিয়া সরকার।