উম্মে সালমা : চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ এলাকা। সামনেই আসছে বর্ষাকাল। এখন থেকে এর সমাধান না হলে নগরবাসী বরাবরের মতো দুর্ভোগে ভুগবেন। ‘দুর্ভোগ’ শব্দটা নগরের বাসিন্দাদের জন্য, নগরের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বাজে উপহার তা হলফ করে বলা যায়। যেখানে আধাঘণ্টার বৃষ্টিতেই শহর হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় সেখানে টানা চার থেকে পাঁচ দিন বৃষ্টিতে শহর পানিতে থই থই করবে না- এমন চিন্তা করাটা অস্বাভাবিক।
চট্টগ্রাম শহরে বলতে গেলে জলাবদ্ধতা একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। বিগত কয়েক দশক এর সরব উপস্থিতির সুফল নগরবাসী ভোগ করে আসছে, আগামী কয়েক দশকও যে এই জলাবদ্ধতা নগরবাসীর সঙ্গে গলাগলি করে নগর প্লাবিত করবে না তা বলা মুশকিল। এই জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে যে কম কথা হয়েছে, তা কিন্তু নয়। তবুও এর যথাযথ সমাধান এখনও হয়নি বললে চলে। জলাবদ্ধতা হয় মূলত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কারণে।
আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে চট্টগ্রাম নগরে ৭০টির মতো খাল থাকলেও এখন বেঁচে আছে ১০টারও কম। বেঁচে আছে ঠিক নয়, আধমরা হয়ে আছে। খালগুলো দখল এবং ময়লা জমে ভরাট হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি সহজে নিষ্কাশিত হতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নগরবাসীদের সতর্ক থাকলে ময়লার স্তূপ না জমিয়ে রাখলে কখনোই এমন জলাবদ্ধ হতো না।
স্বীকার করছি-এখানে নগরবাসীরাও সম্পৃক্ত। যত্রতত্র ময়লা ফেলে নালা কিংবা খাল ভরাট করা আমাদের কাছে অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে আমাদের শহরটা এমন অপরিচ্ছন্ন আর জলাবদ্ধ। জলাবদ্ধতার জন্য নগর কর্তৃপক্ষও কোনোভাবে দায় এড়াতে পারবে না, কারণ নাগরিক হিসেবে নগরের কাছে কিছু সুবিধা আমরা অবশ্যই পাব। আর সেই সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নগর কর্তৃপক্ষের।
লেখক: শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ