চবি প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী একই বিভাগের শিক্ষক ড. মাহবুব মতিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন, যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ আনেন। পরবর্তীতে সেই শিক্ষককে গত ২ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক সমস্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য যৌন নিপীড়ন অভিযোগ সেলেকে নির্দেশ দেয়া হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী উপাচার্য বরাবর বিচার চেয়ে একটি আবেদন করেন।
এদিকে উপাচার্যের নির্দেশনার পরে তদন্তের কাজ শুরু করে অভিযোগ সেলের সদস্যরা। ১৩ দিন পরে অভিযোগ সেল আজ দুপুর ১ টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন উপাচার্যের কাছে জমা দেন। সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জরিন আখতার এই প্রতিবেদন জমা দেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. জরিন আখতার বলেন,’ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত দিবেন’।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি নিজ কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন আগামী শুক্রবার জরুরি সিন্ডিকেট সভার পর কথা বলবেন।
তবে অভিযোগ সেলের সদস্য ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন,’প্রতিবেদন আজকে জমা দেয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিবেন’।
গত ১১ তারিখ প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি। এদিকে আজ সকাল ১০ টা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে দশম দিনের মতো আন্দোলন করে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠে রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১ ফেব্রুয়ারি চবি উপাচার্য বরাবর রসায়ন বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীকে একই বিভাগের এক শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও ধর্ষন চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দেয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের একাডেমিক কমিটির সুপারিশের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নীপিড়ন প্রতিরোধে গঠিত সেল তদন্ত করছে।
এছাড়া একই বিভাগের আরও দুই শিক্ষকের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ৬ সদস্যদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে রসায়ন বিভাগ।