প্রতিনিধি, চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে’র পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচির পর এবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক অনশনে বসেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা অনশন শুরু করেন।
চবির আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক সমিতির নেতাসহ এসব শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচলিত হোক। ১৯৭৩-এর আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় চলুক। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সে জায়গা থেকে সরে এসেছে। সে জন্য শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে, অন্যায়ের বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করছে। আমরা তাদের সব যৌক্তিক কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।
আগামীকালের কর্মসূচি ঘোষণা করে অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ দেয়ার জন্য উপাচার্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। তিনি আমাদের কোনো বক্তব্যও শুনতে চাননি। এমনকি তিনি রাতের আঁধারে উপাচার্যের বাংলোতে নিয়োগবোর্ড বসান। আমরা মনে করছি, উপাচার্য তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। সুতরাং তার পদত্যাগ ছাড়া বিকল্প নেই। সেজন্য আগামীকালও আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।