বিশ্বে দাবদাহ, দাবানল ও বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া তীব্রতর হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বলেছে, তীব্র তাপপ্রবাহ, বিধ্বংসী বন্যাসহ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার ঘটনাগুলোই এখন নতুন স্বাভাবিক বা ‘নিউনরমাল’। খবর: বিবিসি।
২০২১ সালের জলবায়ু প্রতিবেদনে এমন একটি বিশ্বকেই তুলে ধরেছে ডব্লিউএমও যেখানে চরমভাবাপন্ন ঘটনাগুলোই নতুন স্বাভাবিক বা নিউ নরমাল।
এ ব্যাপারে ডব্লিউএমওর অধ্যাপক পেটেরি তালাস বলেন, মানুষের কারণেই যে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে, সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বৈশ্বিক উষ্ণতা, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, সমুদ্রের পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। বিশ্বে দাবদাহ, দাবানল ও বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া তীব্রতর হচ্ছে। গত দশকে ছিল রেকর্ড গরম। বিজ্ঞানীরা বারবার এ ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চারণ করে আসছেন।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৬) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডব্লিউএমও এই আগাম প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
কপ-২৬ সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনা জানাবে বিশ্বের ২০০ দেশ।
জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে এই দেশগুলো ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক্–শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত না রাখতে পারলে বিপর্যয় এড়ানো যাবে না। এ বিষয়ে কপ-২৬ থেকে জোরালো সিদ্ধান্ত আসার আশা করছে বিশ্ববাসী।