শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছর চীনের বাজারে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ কমে দুই কোটি ৬০ লাখ ইউনিটে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ পূর্বাভাস সত্য হলে তা আগের বছরের তুলনায় অন্তত আট শতাংশ কম হবে। নি¤œ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও গাড়ির নির্গমননীতি আরও কঠোর করার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজারটি টানা দুবছর ধরে সংকোচন হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্স।
চায়না অ্যাসোসিয়েশন অব অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারের (সিএএএম) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফু বিংফেং এ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এর আগে সংস্থাটি গত জুলাইয়ে যে পূর্বাভাস করেছিল, তারচেয়েও এটি পাঁচ শতাংশ কম।
সর্বশেষ ২০ বছরে বিশ্বের শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রির ক্ষেত্রে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এসে সে ধারায় ছেদ পড়েছে। শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস, ফোর্ড ও পিজিয়টের মতো প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে দুই অঙ্কের বিক্রি কমার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া কিছু ছোট প্রতিষ্ঠান নিজেদের সক্ষমতা কমানো শুরু করেছে এবং সমন্বয় করার পন্থা খুঁজছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফু বিংফেং বলেছেন, বিক্রির বর্তমান ধারা ধরে রাখা সম্ভব হলে চলতি বছর চীনের বাজারে দুই কোটি ৬০ লাখ গাড়ি বিক্রি হতে পারে। সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এ শিল্পের উৎপাদন মান আরও উন্নত করার কারণে সম্ভবত গাড়ি বিক্রি কমছে। এছাড়া নির্গমন কমানো ও নতুন জ্বালানিবিশিষ্ট গাড়ির কারণে বাজার সংকোচন হচ্ছে। এছাড়া এ বাজারের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নিয়ে তারা এখনও লক্ষ্যহীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে চীনের বাজারে দুই কোটি ৮০ লাখ গাড়ি বিক্রি হয়, যা আগের বছরের তুলনায় তিন শতাংশ কম। ১৯৯০ সালের পর সেটিই ছিল প্রথমবারের মতো বিক্রি কমার ঘটনা। বৃহস্পতিবার সিএএএমের একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, চলতি বছর আট শতাংশ বিক্রি কমবে বলে তারা ধারণা করছেন। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
তবে ফু বিংফেং বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে চীনে গাড়ি বিক্রি তিন কোটি হওয়ার যে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল, তা এখনও সঠিক পথেই রয়েছে। অবশ্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জাপানের সুজুকি প্রথম কোনো কোম্পানি, যারা দেশটির বাজারে নিজেদের বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে।