চলতি সপ্তাহে তিন কোম্পানির পর্ষদ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি সপ্তাহে তিন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বশেষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড: পরিচালনা পর্ষদ সভা আগামীকাল রোববার বিকাল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২৮ হাজার ৫৬৩টি শেয়ার মোট ৭৮ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর দশমিক ৮৭ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯১ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৮২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০২ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে পাঁচ শতাংশ কম। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ছয় টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ৪০ টাকা ৩৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৮৩ পয়সা ও ৩১ টাকা ৪৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৬৮ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪০ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৮০ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, বিদেশি দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে আট দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার।

আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড : পরিচালনা পর্ষদ সভা আগামী ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন বেলা সাড়ে ৩টায় ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির তিন কোটি ১২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ১০৯টি শেয়ার মোট এক হাজার ৯২ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩৫ টাকায় ওঠানামা করে।

২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা এক পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ২৪ টাকা ৩৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী লোকসান ছিল ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৫০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও ৫০ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড : আগামী ৩১ আগস্ট বেলা ৩টায় ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত দুই হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির তিন কোটি ৯৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ৩৪৪ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ২০ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪২ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪২ টাকা ২০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪২ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩২ পয়সা এবং এনএভি ৪২ টাকা ৫৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৯ পয়সা ও ৪০ টাকা ২৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।