নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাড়ে ৩৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রায় ৬৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। গতকাল সোমবার দুদকের ‘ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১’-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত রোববার দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে মামলা অনুমোদন হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
অনুসন্ধানকালে সেলিম খানের নিজ নামে চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় ১৯ দশমিক ৮৯ একর জমি, ঢাকার কাকরাইলে আজমিন ভবন নামের পাঁচতলা একটি বাড়ি, কাকরাইলে ৭১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার ভূঁইগড় মৌজায় ০.১২৫০ একর জমিতে ১০ তলা বাড়িসহ মোট ২৬ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ২১ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এছাড়া ছয়টি ড্রেজার, তিনটি প্রাইভেট কার, একটি পিস্তল, একটি শটগান, আসবাবপত্র, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেল, ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদি, ৯টি সিনেমা নির্মাণ ও আমদানিতে বিনিয়োগ, ৫৮টি সিনেমা নির্মাণে অনুমতির নিবন্ধন ফি জমা, ব্যাংক হিসাবে জমা টাকা ও হাতে নগদসহ মোট ১১ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। মোট ৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮৫ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। সেলিম খান ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২৫ কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার ৫৪৪ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দিয়েছেন। যাচাইকালে তার নামে ২৬ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ২১ টাকার (সম্পদ বিবরণী দাখিলের পূর্ব পর্যন্ত) স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ পাওয়া যায়। তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।