পেনশন তহবিল

চাঁদা দিচ্ছেন না যুক্তরাজ্যের এক-পঞ্চমাংশ মানুষ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে পেনশন তহবিলে চাঁদা দেয়া বন্ধ করেছেন বা কমিয়ে দিয়েছেন বলে এক জরিপে দেখা গেছে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান অ্যাবারডিন পেনশন তহবিলের চাঁদা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, অবসরের পর এখনকার কর্মক্ষম মানুষের যে আয়সংকট হবে, সেটা সামাল দিতে চাঁদা দ্বিগুণ করা দরকার।

যুক্তরাজ্যের মানুষের প্রকৃত মজুরি কমেছে এবং বিভিন্ন পরিষেবার মাশুল বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষ ব্যয় কমানোর পথ খুঁজছেন বা আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাদের মধ্যে অনেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অবসর-উত্তর সময়ের জন্য আর সঞ্চয় করা সম্ভব নয়।

জরিপটি করেছে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান হারগ্রিভস ল্যান্সডাউন। এতে বলা হয়েছে, ২২ শতাংশ মানুষ হয় পেনশনের জন্য সঞ্চয় কমিয়ে দিয়েছেন বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন, পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন ১৪ শতাংশ, আর কমিয়েছেন আট শতাংশ মানুষ। নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি।

১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পেনশন তহবিলে চাঁদা দেয়া বন্ধ করেছেন বা কমিয়েছেন, যেখানে ৩৫ থেকে ৫৪ বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা প্রতি পাঁচজনে একজনের।

বিমা কোম্পানি স্কটিশ উইন্ডোজ বলছে, এই জরিপ থেকে বোঝা যাচ্ছে, দেশের অন্তত ৩৫ শতাংশ মানুষের অবসর-উত্তর জীবনের চাহিদা বা ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ্য কমে যাবে। হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের অবসরবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হেলেন মরিস বলেন, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে মানুষের পক্ষে এসব সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষ যে প্রথমে ব্যয় মেটানোর পর পেনশন নিয়ে ভাবছে, তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

যুক্তরাজ্যে এত দিন অটো এনরোলমেন্টের ব্যবস্থা ছিল, অর্থাৎ যাদের সামর্থ্য আছে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেনশন তহবিলে যুক্ত হয়ে যেতেন। এই ব্যবস্থাপনার অধীনে কর্মীদের বেতনের অন্তত আট শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ পেনশন তহবিলে জমা হতো। এর মধ্যে তিন শতাংশ দিতেন কর্মীরা, চার শতাংশ দিত প্রতিষ্ঠান আর সরকার এক শতাংশ কর ছাড় দিত, এ নিয়ে মোট আট শতাংশ। অ্যাবারডিনের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন বার্ড মনে করেন, এই আট শতাংশ এখনকার বাস্তবতায় যথেষ্ট নয়। তার মতে, শোভন পেনশনের জন্য এই চাঁদার পরিমাণ দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।