প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল সরবরাহে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এক ব্যক্তির আইডি কার্ড বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ব্যবহার, অদৃশ্য ব্যক্তির নাম, ভুয়া কার্ড ব্যবহার, সম্পদশালীদের নামে চাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডে ১০ টাকা দরে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় দুই হাজার ৫৯ জনকে। প্রত্যেক উপকারভোগী প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ও আগের ডিলার আবদুল্লাহ আল মামুন জর্জের দুর্নীতির কারণে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে না প্রকৃত দুস্থ পরিবারগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ইউনিয়নের পলশা মিশন বাজারের ডিলার পয়েন্টে গিয়ে নকল কার্ড, কার্ড থাকলেও নিয়মিত চাল না পাওয়া, একই কার্ড বিভিন্নজনকে দেওয়ার অসংখ্য অনিয়ম দেখা গেছে।
ডিলার আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি আগে থেকে এক হাজার ২৯ জনের চাল সরবরাহ করতেন। সম্প্রতি আরেক ডিলার আবদুল্লাহ আল মামুন জর্জ চাল আত্মসাতের ঘটনায় আটক হওয়ার পর গত ১৭ অক্টোবর থেকে আরও এক হাজার ৩০ জনের চাল সরবরাহের অনুমতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তবে এ তালিকা নিয়ে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাকে বিপদে ফেলার জন্য আগের ডিলার আবদুল্লাহ আল মামুন জর্জ এসব জাল কার্ড সরবরাহ করছেন।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুর রহমান রাজু জানান, এ পর্যন্ত তিনটি নকল কার্ড শনাক্ত হয়েছে। আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করলে দেখা যাবে কতগুলো চাল বিতরণ হচ্ছে। তারপর জানা যাবে কতগুলো নকল কার্ড রয়েছে এবং অন্য কি অনিয়ম রয়েছে। সরকারি বরাদ্দের চাল নিয়ে যে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যাবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, সরকারি বরাদ্দে যদি কেউ অনিয়ম করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকারের ১০ টাকার চাল আত্মসাতের অভিযোগে আটক হন বালিয়াডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ও ডিলার আবদুল্লাহ মামুন জর্জ। বর্তমানে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।