চার খাতের দর বৃদ্ধিতে সূচকের উত্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল লেনদেন শেষ হয়। গত তিন কার্যদিবস ধরে সূচক অল্প অল্প করে বেড়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। মূল্যসূচক বাড়লেও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় সাড়ে তিন ডজন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রায় পুরো সময় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য অবস্থায় থাকে।

ডিএসইর চার খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। খাতগুলো হলোÑব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং বস্ত্র। ব্যাংক খাতে ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে ২৩টি বা ৬৯ দশমিক ৭০ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। চারটি বা ১২ দশমিক ১২ শতাংশ কোম্পানির পতন হয়েছে এবং ছয়টির বা ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। খাতটিতে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, এনআরবিসি ব্যাংকের ৭০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ টাকা ১০ পয়সা বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হওয়া ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ২১টি বা ৬৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। দুটি বা ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ কোম্পানির পতন হয়েছে এবং আটটি বা ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এমবি ফার্মার ৪২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ, ইমাম বাটনের ৯ টাকা ৭০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ, একমি পেস্টিসাইডের দুই টাকা বা ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

প্রকৌশল খাতে ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ২৫টি বা ৫৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি বা ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোম্পানির দর পতন হয়েছে এবং তিনটির বা ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।

বস্ত্র খাতে ৫৯টি কোম্পানির মধ্যে ৩১টি বা ৫২ দশমিক ৫৪ শতাংশ কোম্পানির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০টি বা ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ কোম্পানির দর পতন হয়েছে এবং আটটি বা ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের দুই টাকা ৩০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের এক টাকা ৭০ পয়সা ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, কাট্টলি টেক্সটাইলের এক টাকা বা ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।

 ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৫০ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক শূন্য দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৯৫ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। তবে শরিয়াহ্ সূচক শূন্য দশমিক  ২৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮৫ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির বা ৪১ দশমিক ২১ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৭২টির বা ৪৫ দশমিক ১৪ শতাংশের এবং ৫২টির বা ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৬ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৯০ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর। সিএসইতে ২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।