চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ বাণিজ্য নীতিমালার লঙ্ঘন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। সংস্থাটির তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ একটি প্যানেল এ বিষয়ে চীনের পক্ষেই রায় দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপের সময় যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করেছে। এর জবাবে ট্রাম্প সংস্থাটিকে ‘পুরোপুরি অপর্যাপ্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করেছে বলেও ডব্লিউটিওর পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, চীনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার নীতিমালার বিরোধী। সংস্থাটি বলছে, চীনের ওপর অন্যায়ভাবে প্রযুক্তি চুরির যে অভিযোগ এনে শুল্কারোপ করা হয়েছিল তার পক্ষে ন্যায়সংগত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। বাণিজ্য সংস্থার এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, ডব্লিউটিও আসলে চীনকে মোকাবিলা করার জন্য একেবারেই প্রস্তুত না।

এদিকে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিজার বরেছেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই অন্যায্য বাণিজ্য পদ্ধতির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অনুমতি দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, গত চার বছর ধরে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ক্ষতিকারক প্রযুক্তির অনুশীলন বন্ধ করার বিষয়ে কথা বলে আসছে। তারপরেও ডব্লিউটিও চীনের পক্ষেই রায় দিয়েছে।

রবার্ট লাইথিজার আরও বলেন, চীনের মেধাস্বত্ব চুরির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে তথ্য প্রমাণ দিয়েছে সে বিষয়ে বিতর্কে যায়নি ডব্লিউটিও। তাদের এমন সিদ্ধান্ত থেকেই বোঝা যায় যে, সংস্থাটি এ ধরনের অন্যায়ের কোনো সমাধান দিতে পারবে না।

চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ শুরু করে।  ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন প্রথম ধাপে শুল্কারোপের পর ডব্লিউটিওর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করে চীন। পরবর্তীতে তা ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য পর্যন্ত চলে যায়। ওই অভিযোগে ২০১৮ সালের জুন এবং সেপ্টেম্বরে প্রণীত ২০০ বিলিয়ন ডলার পণ্যে যে শুল্কারোপ করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানায় চীন।