শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংজিতে ধ্বংস হওয়া যাত্রীবাহী বোয়িং বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র লিউ লুসং গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর: রয়টার্স।
ব্ল্যাক বক্স মূলত বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার। এটি বিমানে ব্যবহƒত একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডিং ডিভাইস বা যন্ত্রাংশ, যেখানে বিমানের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে। যেকোনো বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স প্রয়োজনীয়। সাধারণত উড়োজাহাজের পেছনের দিকে থাকে এই যন্ত্রাংশটি।
দুর্ঘটনার পর থেকে বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে তা বিঘিœত হয়। পরে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা একটি ব্ল্যাকবক্সের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান।
চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রশাসন (সিএএসি) বলছে, বোয়িং ৭৩৭-এর এমইউ৫৭৩৫ ফ্লাইটটি কুনমিং শহর থেকে গুয়াংঝু যাচ্ছিল। গুয়াংজি অঞ্চলের উঝৌ এলাকার আকাশে থাকার সময় বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটিতে ১২৩ যাত্রী ও ৯ ক্রু ছিলেন। তবে চীনের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বিধ্বস্ত বিমানে ১৩৩ জন ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোর বলছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিমানটি গুয়াংঝু যাওয়ার উদ্দেশে বেলা ১টা ১১ মিনিটে কুনমিং থেকে উড্ডয়ন করেছিল। বিমানটির সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত হয়েছিল ২টা ২২ মিনিটে। সেই সময় গুয়াংজির উঝৌ এলাকার আকাশে ৩ হাজার ২২৫ ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ৩৭৬ নট (৬৯৬ কিলোমিটার) গতিবেগে বিমানটি চলছিল।
বিমানটি মাত্র ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ব্যবধানে ২৯ হাজার ১০০ ফুট উচ্চতা থেকে ৩ হাজার ২২৫ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। এরপর বিমানটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বিমানটি উঝৌ এলাকার আকাশে ৩ হাজার ২২৫ ফুট উচ্চতায় চলার সময় আচমকা পাহাড়ে আছড়ে পড়ছে। আরও দেখা যায়, একদম খাড়াভাবে ভূমিতে পড়ে বিমানটি। অর্থাৎ পতনের সময় বিমানটির সামনের অংশ নিন্মমুখী ও পেছনের অংশ আকাশের দিকে ছিল।