চীনে বেড়েছে শিল্পোৎপাদন

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি বছরের মে মাসে চীনের শিল্পোৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। প্রত্যাশার তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি বেশি। উৎপাদন বৃদ্ধিকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খবর এএফপি।

চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) এর তথ্যমতে, গত বছরের মে মাসে চীনের শিল্পোৎপাদন প্রবৃদ্ধি ছিল ছয় শতাংশ। আর এবার একই সময়ে বেড়েছে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। ব্লমবার্গের জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় বাড়লেও আগের মাসের তুলনায় উৎপাদনে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে চীনের শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ছয় দশমিক সাত শতাংশ।

স্বত্বাধিকারী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মে মাসে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ছয় দশমিক দুই শতাংশ। শেয়ার হোল্ডিং কোম্পানিগুলোর উৎপাদন বেড়েছে ছয় দশমিক আট শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্যোগে শিল্প উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ।

গত মাসে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় দশমিক ৯ শতাংশ। আর খনিজ উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে দশমিক পাঁচ শতাংশ।

এদিকে উৎপাদন বাড়লেও অস্থিতিশীল ও অনিশ্চয়তার কারণগুলো অব্যাহত রয়েছে। গ্রাম এলাকায় বিনিয়োগ বাদ দিয়ে স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ, যা থেকে আবাসন, রাস্তা ও সেতু খাতে খরচের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়। গত পাঁচ মাসে এ খাতে পূর্বাভাসের তুলনায় কিছুটা শ্লথগতি দেখা গেছে।

এনবিএসের মুখপাত্র লি এইহুয়া জানান, গত মাসে উৎপাদন খাতে পরিমিত উন্নয়ন হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করেন যে, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অনেক বিষয়ে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে।

এনবিএসের তথ্যমতে, ভোক্তা ব্যয়ের অন্যতম নির্দেশক খুচরা বিক্রিও এক বছর আগের এ সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১০ দশমিক সাত শতাংশ। পূর্বাভাসেও একই প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল।

চীনের অর্থনীতি সারা বিশ্বের আমদানির পরিস্থিতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য ও বাণিজ্যিক সেবার দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক চীন। দেশটির অর্থনীতি মন্থর হলে এসব পণ্যের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

গত ২৫ বছরের মধ্যে ২০১৫ সালে সর্বনি¤œ অবস্থানে নেমে এসেছিল চীনের প্রবৃদ্ধি। দেশটির প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ওই বছর দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ছয় দশমিক নয় শতাংশ। এর আগের বছর এ হার ছিল সাত দশমিক তিন শতাংশ।