শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
ভূমিকম্পে আহত প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের আঘাত গুরুতর। দুর্যোগকবলিত এলাকায় আটকেপড়া দুই শতাধিক মানুষকে সরিয়ে আনতে উদ্ধারকারীরা কাজ করছেন। পাশাপাশি তারা টেলিযোগাযোগ সেবা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনস্থাপনে কাজ করছেন ও ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের খাবারের জোগান দিচ্ছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোয় বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে টেলিযোগাযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। এতে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ প্রদেশের রাজধানী শহর চাংদুতে কভিড-১৯ জনিত লকডাউন চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে চাংদুর ২ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দাকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র চাংদু থেকে প্রায় ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চল লুদিংয়ে। ইয়ান শহরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রতিবেশী গানসি প্রিফেকচারে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিমবাহ, সবুজ বন ও সুউচ্চ শিখরগুলোর জন্য পরিচিত জনপ্রিয় পর্যটন শহর হাইলুগোয় এখনও দুই শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছে। তাদের কাছে পৌঁছাতে ভূমিধসে বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কগুলো ফের চালু করতে উদ্ধারকারীরা কাজ করছেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র লুদিংয়ে বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও টেলিযোগাযোগ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ২৪৩টি বাড়ি ধসে পড়েছে ও ১৩ হাজার ১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি হোটেল ও শতাধিক রিসোর্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে সিচুয়ানের বেশ কয়েকটি শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বহু মহাসড়ক ভেঙে পড়েছে এবং সাতটি মাঝারি ও ছোট জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।