প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: বৈরী আবহাওয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। শিশুরা ঠাণ্ডাজ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৫ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে ভর্তি রয়েছে ৭০ রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যেও বেড না পেয়ে বারান্দা ও মেঝেতে থাকতে হচ্ছে রোগীদের।
রোগীরা বহিঃবিভাগে প্রতিদিন সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও বহিঃবিভাগে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কয়েক দিন চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়া কিছুটা গরম ছিল। টানা তিন দিন নি¤œচাপের কারণে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে শীত বাড়ছে। এ বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশুরা ঠাণ্ডাজ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৭০টি শিশু রোগী চিকিৎসাধীন। আর বহিঃবিভাগ থেকে প্রতিদিন সাড়ে ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে অতিরিক্ত রোগীর চাপ হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। বৃষ্টি শেষ হলে শিশুরা রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হবে। এখন থেকে শিশুদের যত্নে রাখতে হবে অভিভাবকদের। শিশুরা অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। তিন দিনে আবহাওয়াজনিত কারণে আন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগে রোগী চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে।