রফিক মজিদ, শেরপুর: শেরপুর ট্রাফিক পুলিশ গত ছয় মাসে ৬০ লাখ ২২ হাজার ৯৯০ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। এসব রাজস্ব এসেছে গাড়ির কাগজপত্রসহ নানান অনিয়মের মামলা থেকে। বেশির ভাগ রাজস্ব এসেছে মোটরসাইকেল থেকে।
শেরপুর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ছয় মাস ধরে প্রতিদিনের তৎপরতায় এই ফল এসেছে বলে জানা গেছে।
গাড়ির মামলা ও জরিমানাসংক্রান্ত এই আদায় বলে সূত্র জানিয়েছে। এ রাজস্বের পরিমাণ এই অর্থবছরে কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা দিয়ে কাগজপত্র ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ নানা বিষয়ে নিয়মিত করার জন্য আবার পাঠানো হয়েছে সরকারের (বিআইটিসি) সড়ক পরিবহন করপোরেশনে। গাড়ির কাগজপত্র নিয়মিত করা বাবদ বিআরটিএ থেকে সরকার আবার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পেয়েছে। পুলিশের এ ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় (ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএ) চলতি অর্থবছরে অন্তত তিন কোটি টাকার মতো রাজস্ব রাজস্ব পেয়েছে বলে জানা গেছে। শেরপুর ট্রাফিকের ট্রাফিক ইন্সিপেক্টর আবু সাঈদ হিরন বলেছেন, এ তৎপরতা চলবে।
পুলিশের ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির মামলা ও জরিমানা থেকে গেল এপ্রিল মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ লাখ ২২ হাজার টাকা, মে মাসে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯০ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৮ লাখ ১৬ হাজার, জানুয়ারি মাসে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১০০ টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা, নভেম্বর মাসে ১১ লাখ ৫০ হাজার।
আদায়কৃত মোট ৬০ লাখ ২২ হাজার ৯৯০ টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ শহরের নানান প্রবেশ পথে প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে গাড়ির মালিক ও চালকদের কাছ থেকে এ রাজস্ব আদায় করেছে।
পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেছেন, রাজস্ব আদায় লক্ষ্য নয়, পুলিশের কাজ সেবা দেয়া। জনগণ, রাস্তা ও গাড়িকে নিরাপদ রাখতেই ট্রাফিক পুলিশ সরকারের আইন মেনে সহনীয় মাত্রায় জরিমানা করে সবাইকে আইনের মধ্যে আনার চেষ্টা করছে। রাস্তায় নিরাপত্তা বিধান ও এতসংখ্যক টাকা রাজস্ব আদায় করায় শেরপুর ট্রাফিক পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পুলিশের এ কর্মকর্তা।