নিজস্ব প্রতিবেদক: ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৯১ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। প্রাক্কলন মোতাবেক কাজ না করে সরকারি এসব অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। এতে ৮০ নম্বর মাছুয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকর্ণ কুমার বিশ্বাস ও বিদ্যালয়টির সভাপতি বাবুল আখতার; ২৬ নম্বর বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাছুরা পারভীন ও বিদ্যালয়টির সভাপতি ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস; ৫৯ নম্বর রাজিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন ও বিদ্যালয়টির সভাপতি খাইরুল ইসলাম; ৮৫ নম্বর বামনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও বিদ্যালয়টির সভাপতি মোকলেচুর রহমান; ৩০ নম্বর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুল হক ও বিদ্যালয়টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন; ৭২ নম্বর মামুদানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার বিশ্বাস ও বিদ্যালয়টির সভাপতি মহিমা রঞ্জন মৈত্র এবং ছয়টি মামলাতেই খোকসার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ বেলালকে আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হবে। গত ১৫ মার্চ দুদক কমিশন সভায় মামলাগুলো দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, ৮০ নম্বর মাছুয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ হাজার ৮২৫, ২৬ নম্বর বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৫ হাজার ৩৬৮, ৫৯ নম্বর রাজিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৩ হাজার ৫৩০, ৮৫ নম্বর বামনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ হাজার ৬৭, ৩০ নম্বর ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০ হাজার ১৭৩ ও ৭২ নম্বর মামুদানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৭ হাজার ২২৮ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।