Print Date & Time : 7 September 2025 Sunday 5:05 pm

ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৮ জনের ফাঁসি

প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাছান জসিম (২১)কে গুলি করে হত্যার দায়ে আটজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় দেন। নিহত জসিম সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে ও চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন। অন্য আট আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও হিজবুর রহমান স্বপন নামে এক আসামি পলাতক ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেনÑআলী হোসেন বাচ্চু (৪৩), মোস্তফা (৪৩), খোকন (৪৮), আবুল হোসেন (৬৮), মোবারক উল্যা (৬১), কবির হোসেন রিপন (২৬), জাফর আহম্মদ (৬১) ও হিজবুর রহমান স্বপন (৪০)।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার সঙ্গে একই বাড়ির মোবারক উল্যা ও আলী হোসেন বাচ্চুদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে মোবারক ও তার সহযোগীরা ২০১৩ সালে মফিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরপর থেকে মফিজের মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেন আসামিরা। এদিকে মোবারকদের করা মামলাটি পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মফিজের ছেলে মেহেদী হাছান জসিমের নাম বাদ দেয়ায় মোবারকরা চরম ক্ষিপ্ত হন। এ কারণে জসিম ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে আত্মীয় গোলাম মাওলার বাড়িতে আত্মগোপনে যান। জসিমের সঙ্গে তার বড় ভাই আবদুল হাই ও গোলাম মাওলার ভাই মাসুদ একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় তারা জসিমের বুকে গুলি করেন। পরে জসিমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন মফিজ বাদী হয়ে সদর থানায় মোবারকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।

মামলার বাদী মফিজ উল্যা বলেন, তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।