নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: প্রচলিত নিরেট কংক্রিটের স্থানে উচ্চ পানি পরিবহন ক্ষমতাসম্পন্ন ছিদ্রযুক্ত কংক্রিটকে ফুটপাতের কভার হিসেবে ব্যবহার করলে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ভূগর্ভস্থ পানির চলমান অবনমন রোধ করা সম্ভব। কারণ এই কংক্রিট বৃষ্টিপাত বা অন্য উৎস থেকে আসা পানিকে অহেতুক বয়ে যাওয়ার পরিবর্তে মাটিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রাথমিক উপায় হিসেবে ফুটপাতে ছিদ্রযুক্ত কংক্রিটের ব্যবহার সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্রে ইঞ্জিনিয়ার অমৃতা দাশ এসব বিষয় উপস্থাপন করেন।
চট্টগ্রামের সাদার্ন ইউনিভার্সিটির পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এতে ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি ও পুরকৌশল বিভাগের প্রধান প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ সভাপতিত্ব করেন।
ইঞ্জিনিয়ার অমৃতা দাশ তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, প্রচলিত নিরেট কংক্রিটের স্থানে উচ্চ পানি পরিবহন ক্ষমতাসম্পন্ন ছিদ্রযুক্ত কংক্রিটকে ফুটপাতের কভার হিসেবে ব্যবহার করলে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ভূগর্ভস্থ পানির চলমান অবনমন রোধ করা সম্ভব। কারণ এই কংক্রিট বৃষ্টিপাত বা অন্যান্য উৎস থেকে আসা পানিকে অহেতুক বয়ে যাওয়ার পরিবর্তে মাটিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়।
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির ল্যাবে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি ২০১৫ ও ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের বৃষ্টিপাতের রেকর্ডের সঙ্গে তুলনা করে দেখা হয়েছে। প্রাপ্ত তুলনাভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত কংক্রিট কভারটির মধ্যে অনুমেয় বৃষ্টিপাতের তুলনায় অনেক বেশি পানি অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, পুরকৌশল বিভাগের সব গবেষণা চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের নিরিখে পরিকল্পনা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অবনমন রোধ করার জন্য কীভাবে ছিদ্রযুক্ত কংক্রিট ব্যবহার করা যায়, এই বিষয়ের উপর অমৃতা দাশসহ আরও দুজন শিক্ষক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এই গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।