প্রতিনিধি, গাজীপুর: চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয় হাজার ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম এ বাজেট ঘোষণা করেন।
মেয়রের সভাপতিত্বে বাজেট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, জেলা জজ ড. আবুল কাশেম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে, বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প ও ডিডিপিভিত্তিক প্রকল্প থেকে চার হাজার ৩৪২ কোটি ৩০ লাখ ৩১ হাজার টাকা, রাজস্ব (সাধারণ তহবিল) থেকে ৪২৪ কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার টাকা, উন্নয়ন-সরকারি খাতে ১০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প ও ডিডিপিভিত্তিক প্রকল্পে চার হাজার ২১৫ কোটি ৪১ লাখ সাত হাজার টাকা, রাজস্ব (সাধারণ তহবিল) ১৬৩ কোটি এক লাখ টাকা, পানি সরবরাহ ১৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, সরকারি অনুদান ১০৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, উন্নয়ন রাজস্ব (নিজস্ব রাজস্ব তহবিল) ২৬১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে উদ্বৃত্ত হয়েছে এক হাজার ৩৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
মেয়র বলেন, গাজীপুরকে সবার জন্য বসবাসযোগ্য একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে চাই। সড়ক বা রাস্তায় কোনো দোকানপাট বসতে দেওয়া হবে না। হকারদের জন্য ১০টি হকার মার্কেট করে দেওয়া হবে। যারা রাস্তা বা ড্রেনের জন্য জমি দেবেন তাদের হোল্ডিং টেক্স ফ্রি করে দেওয়া হবে। তাদের নামও লিখে বা সংরক্ষণ করে রাখা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বেকার ব্যক্তি থাকলে তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হবে। নতুন অর্থবছরে কোনো টেক্স বাড়ানো হয়নি। আমি আমার সততা থেকে এক ইঞ্চি নড়ব না। কেউ অন্যায় বা দুর্নীতি করে পার পাবে না।
মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এই বাজেট বাস্তবায়ন করার জন্য এখন থেকেই সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ করার জন্য মেয়রকে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা যা বলেছেন তা তাকে প্রমাণ করতে হবে। তিনি যে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন তা সবারই জানা। তার কথায় হিন্দু সমাজও বিব্রত। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আগে দেশে ফিরে আসুক তারপর দেখেন কী হয়।