শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে জনশুমারি ও গৃহগণনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাংলাদেশে বসবাসকারী সব নাগরিকের দায়িত্ব। আজ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২’ উপলক্ষে গতকাল দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। খবর: বাসস।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক ১৫ থেকে ২১ জুন ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশব্যাপী ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২’-এর তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পূরণ ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২’ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
সবার সার্বিক সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২’ সফল ও সার্থক হোক বলে প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শুমারিতে সিএপিআই (কম্পিউটার-সহায়ক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা এবং তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণে স্বল্প সময়ের প্রয়োজন হবে। এছাড়া শুমারির গুণগত মান রক্ষা করে দ্রুততম সময়ে শুমারির প্রতিবেদন প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গঠনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে সুষম ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রমাণকনির্ভর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নির্ভুল তথ্য-উপাত্ত থাকা আবশ্যক।’
আবদুল হামিদ বলেন, “রূপকল্প ২০৪১, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ (এসডিজি) অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২’-এর তথ্য-উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যভাণ্ডার হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা রাখি।”
বাণীতে তিনি প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২’-এর সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।