Print Date & Time : 18 August 2025 Monday 12:41 am

জনসংখ্যার অর্ধেকের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি!

শেয়ার বিজ ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণে হার দুই শতাংশের নিচে নেমেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোট জনসংখ্যার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষ উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছে। তাদের শরীরে অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে।

সেই সঙ্গে একটি বড় সংখ্যার জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা গেছে। এই দুই কারণে কমতে শুরু করেছে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু হার। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করেন, আগামী জুনের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেলে পরিস্থিতি আরও সহনীয় হবে।

অক্টোবর থেকেই করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নীচে নামতে শুরু করে। মৃত্যুর সংখ্যা নেমে আসে সাত থেকে দশ জনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মতে, টানা চার সপ্তাহ বা এক মাস শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নীচে হলে রোগের প্রকোপ কমছে বলে ধরে নেয়া যাবে।

এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন দেশের ১২ শতাংশ মানুষ। এতো সীমিত টিকার পরও সংক্রমণ কমার কারণ হলো বিপুল জনগোষ্ঠীর উপসর্গহীন করোনা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষের এরিমধ্যে করোনা হয়ে গেছে। তাদের শরীরে তৈরি হওয়া এন্টিবডিই সংক্রমণ কমার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।

যদিও কতো শতাংশ মানুষের অ্যান্টিবডি হয়েছে বা সেটি কতদিন শরীরে সক্রিয় থাকবে তা নিয়ে দেশে ব্যাপক কোন গবেষণা হয়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরার বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশা করছেন, আগামী মার্চ নাগাদ ৭০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকার আওতায় আনা গেলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

সোমবার পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৭ জনে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৭৭৮ জন।