নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। রাজধানীর কাকরাইলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
অনশনস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, জবির পরিকল্পনা বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে সব কিছু করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টা কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে এসে এ সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
এ সময় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন বলেন, আমাদের চতুর্থ দাবি ছিল আমাদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। হামলার ঘটনায় পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া সাত দিনের মধ্যে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে।
এর আগে দাবি আদায়ে গতকাল বিকাল পৌনে ৪টায় কাকরাইল মোড়ে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে অনশনে বসেন। সাবেক-বর্তমান মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমাবেশে জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে গণঅনশনের ঘোষণা দেন জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্র্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জবির বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট রোডম্যাপ জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, চার দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জবির শিক্ষার্থীরা। তবে তারা আজ কাকরাইল মোড়ে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার ভবনের যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
তাদের চার দফা হলো- ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জবির ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।