Print Date & Time : 15 August 2025 Friday 9:29 pm

জমানো শেয়ার হাতবদলে মনোযোগ বিনিয়োগকারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। যদিও এসব খাতের কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি-সংক্রান্ত যৌক্তিক কোনো কারণ দেখা যায়নি। আবার মাঝে মাঝে মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারদরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। পুঁজিবাজারের এই প্রবণতায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের কাছে জমেছে প্রচুর শেয়ার। এই শেয়ার বিক্রি ও পছন্দের শেয়ার ক্রয়েই ছিল মনোযোগ বেশি ছিল বিনিয়োগকারীদের।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে এমন তথ্য। জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেন আগের চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। অবশ্য ডিএসইর সব সূচকেই ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের প্রবণতায় ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে বিমা ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ এসব শেয়ারের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে, যার ফলে মৌলভিত্তির শেয়ারদরও কমে যায়। এর প্রভাবে মূলধারার বিনিয়োগকারীরাও মূলধন বাঁচাতে সতর্ক অবস্থান নেয়। শেয়ার জমানোর পরিবর্তে লেনদেনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এভাবে কয়েকটি খাতের শেয়ার জমে যায় বিনিয়োগকারীদের কাছে।

আলোচিত খাত হিসেবে বিবেচিত সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারের দর পতন হয়। এর ফলে অধিকাংশ শেয়ারের দর পতন হয়। কিন্তু শেয়ারদর বৃদ্ধি পায় অধিকাংশ মৌলভিত্তির কোম্পানির। পাশাপাশি মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের ফলে ডিএসইর সূচকগুলো পতনের হাত থেকে রেহাই পায়।

গত সপ্তাহে দেখা গেছে, বিতর্কিতভাবে শেয়ারদর বৃদ্ধির খাতগুলোর বাইরের থাকা কোম্পানির প্রতি আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। এই সময়ে জমানো শেয়ার বিক্রির প্রতিই বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। ফলে আলোচনায় থাকা বিমা ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ারদর কিছুটা কমে গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুাযায়ী, গত সপ্তাহে লেনদেনে মোট ৩৬৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১১৫টির, কমে ১৮২টির, অপরিবর্তিত ছিল ৬৫টির ও লেনদেনে অংশ নেয়নি তিনটি।

শেয়ারদর বৃদ্ধি ও লেনদেনে একক কোনো খাত প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেনি। লেনদেনে প্রভাব বিস্তারকারী ছিল মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো। এর মাঝেও সর্বোচ্চ গেইনারে ছিল প্রকৌশল খাতের শেয়ার। সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ মুনাফা দেখতে পান বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি ছিল খাদ্যে তিন দশমিক ৩৭ শতাংশ, ওষুধে দুই শতাংশ, টেলিকমে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ ও জীবন বিমা খাতে এক দশমিক ৫০ শতাংশ। অপরদিকে এই সময়ে সর্বোচ্চ লোকসান দেখা গেছে সাধারণ বিমা খাতে দুই দশমিক ৫২ শতাংশ। এছাড়া লোকসান দিয়েছে ব্যাংক খাত এক দশমিক ১৫ শতাংশ ও এনবিএফআই শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনে সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ অবদান রাখে সাধারণ বিমা খাত। এর পরই ১৬ দশমিক ছয় শতাংশ অবদান রাখে ওষুধ খাত। এছাড়া প্রকৌশল খাত ১১ দশমিক ছয় শতাংশ ও ব্যাংক খাত ১০ দশমিক সাত শতাংশ অবদান রাখে।

শেয়ারদর বৃদ্ধিতে একক কোম্পানি হিসেবে শীর্ষে উঠে আসে জেএমএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেস, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ডমিনাজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস। অপরদিকে শেয়ারদর হারানোর শীর্ষে উঠে আসে আমান ফিড, এসকোয়ার নিট কম্পোজিট ও কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।