Print Date & Time : 22 July 2025 Tuesday 9:31 pm

জমি অধিগ্রহণে অনুমোদন পেল শেখ হাসিনা নকশি পল্লি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের নকশি শিল্পী ও শিল্প পুনর্বাসনে জামালপুর জেলায় নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা নকশি পল্লির জন্য ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় জামালপুর জেলার সদর উপজেলায় ২০৪ দশমিক ৭৩৫০ একর এবং মেলান্দহ উপজেলায় ৯৫ দশমিক ২৬৫০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ পল্লির জন্য বরাদ্দ থেকে এরই মধ্যে ১০০ কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা নকশি পল্লির জন্য ৭৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগের বিষয়টি গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভায় অনুমোদন করা হয়। এরপর পরিকল্পনা বিভাগ চলতি বছরের ১৪ মে প্রকল্পটির জিও (সরকারি আদেশ) জারি করে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক অনুমোদন দেয় ২১ মে।
প্রকল্পের অনুকূলে গত ২৩ জুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় গত ২৩ জুলাই মন্ত্রণালয় কর্তৃক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থের বিভাজন অনুমোদনের প্রস্তাব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় গত ২৪ জুলাই। মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদনের প্রস্তাব ৫ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।
কার্যপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক প্রকল্পটির অনুকূলে ২০০৯-১০ অর্থবছরের এডিপিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে গত ২৯ আগস্ট ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদন এবং প্রথম কিস্তি বাবদ এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা অবমুক্তকরণ প্রস্তাব গত ১২ সেপ্টেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতা ও পুনর্বাসনের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পী ও শিল্প। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব শিল্পীকে একই ছাদের নিচে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনা নকশি পল্লির মাধ্যমে। এখানে উপজাতিদের তাঁত শিল্পী ও শিল্প পাওয়া যাবে। এজন্য এই প্রকল্প দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করা হয়েছে।’
কার্যপত্র থেকে জানা যায়, বৈঠকে শেখ হাসিনা নকশি পল্লি ছাড়াও শেখ হাসিনা বিশেষায়িত জুটমিল, শেখ হাসিনা সোনালি আঁশ ভবন, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সোনালি ব্যাগ প্রকল্প ও ভিসকস প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে সুপারিশ করেছে কমিটি।
কমিটি সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রণজিৎ কুমার রায়, শাহীন আক্তার, আবদুল মমিন মণ্ডল, খাদিজাতুল আনোয়ার এবং তামান্না নুসরাত (বুবলী) বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজেএমসির চেয়ারম্যান, বস্ত্র ও পাট অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।