Print Date & Time : 16 August 2025 Saturday 1:59 am

জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি বিষয়ে মোমেন-কেরির ফোনালাপ

শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু-বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ইস্যু এবং এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ফোন করেন। সূত্র: বিএসএস।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে তাদের মধ্যকার এই আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর প্যারিস চুক্তির ব্যাপারে কেরির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে এই ইস্যুতে আলোচনায় ফিরে আসার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

মোমেন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের পরীক্ষিত সম্পর্কের উদাহরণ টেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দূত হিসেবে কেরির নিয়োগে বাংলাদেশ সরকারের সন্তুষ্টির কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় হ্রাসকরণ, অভিযোজন ও উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলে এতে খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরেকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বর্ণনা করেন। এছাড়া তিনি জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সভাপতিত্বে (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) সিভিএফ ও গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) ঢাকা অফিসের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।

কেরি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশ যে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে, তা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী কোপ-২৬ সম্ভবত লক্ষ্য অর্জনের সর্বশেষ সুযোগ হতে যাচ্ছে। আর তাই এই লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র অটল ও অনড়। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন খাত ও ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন।

প্রেসিডেন্টের দূত জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুর জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি কিছু করতে পারে বলে সম্মত হন।

কেরি আরও বলেন, অনেক দেশ পর্যাপ্ত হ্রাসকরণ ও অভিযোজনের প্রশ্নে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে এবং এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যুতি সবার জন্যই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু।

যুক্তরাষ্ট্রের দূত যত বেশি সম্ভব মানুষকে অন্তর্ভুক্তির জন্য বর্তমান সুযোগকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ সময় তারা উভয়েই কোপ-২৬ ও অন্যান্য বহুমুখী প্ল্যাটফরমে নিবিড়ভাবে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হন।