জলবায়ু সম্মেলন থেকে কী অর্জিত হলো

আবুল কাসেম হায়দার: জলবায়ু নিয়ে আন্দোলন আজ বিশ্বজুড়ে বেশ সামনের স্থানে গিয়ে পৌঁছেছে। জলবায়ু ও এর প্রভাব এবং মানবজীবন ও জীবনযাপনের অবস্থা নিয়ে বিশ্বের তরুণেরা বেশ সোচ্চার।

কপ-২৬ সম্মেলনে গ্লাসকোতে কী না ঘটলÑপ্রতিদিন আন্দোলন, প্রতিবাদ ও দাবি উচ্চারিত হয়েছে। নতুন নতুন প্রতিবাদ কর্মসূচি সবার বেশ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ধনী দেশগুলোর নেতাদের বিবেকে কিছুটা হলেও জাগরণ ও চিন্তা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। আগামীতে হয়তো কপ-২৭ সফলতার দ্বারে উপনীত হবে। মিসরে এই সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্লাসগো ঘোষণা ঐতিহাসিক আপসের দলিল: কিছু ভালো সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই পাওয়া গেছে, যেগুলোকে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থে কেউ কেউ যুগান্তকারী বলে দাবি করছেন। তবে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে যারা চিন্তিত, যারা সত্যিই বিশ্বাস করেন, একটি দিনের বিলম্বও পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে, তাদের হতাশা ও ক্ষোভ মোটেও উপেক্ষণীয় নয়। বিপন্নবোধ করেছে জলবায়ু– ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো। তাদের কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে মালদ্বীপের প্রতিনিধির কণ্ঠে, যখন তিনি বলেন, মালদ্বীপের জন্য এতে খুব দেরি হয়ে যাবে।

সরকারি প্রতিনিধিরা কূটনৈতিক রীতিনীতির কারণে অনেক কথাই বলতে পারেন না। কিন্তু নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধিরা তা বলতে পারেন, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক সমাজে। সম্মেলন থেকে যেসব পদক্ষেপের ঘোষণা এসেছে, তার মধ্যে আছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনের প্রতি অঙ্গীকার; অভিযোজন, অর্থাৎ জলবায়ুজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থায়ন দ্বিগুণ করার অঙ্গীকার; জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো যে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণে যে বাড়তি সহায়তা প্রয়োজন, তার স্বীকৃতি এবং প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দিতে উৎসাহিত করা। কার্বন গ্যাসের লেনদেনে স্বচ্ছতা ও নিরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্যারিস রুল বুক নামে পরিচিত বিধিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে গ্লাসগো সম্মেলনে। সর্বোপরি, এখন গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোসহ সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি দেশকে প্রতিবছর তাদের জাতীয় ভূমিকার অঙ্গীকার বা এনডিসি হালনাগাদ করতে হবে, যাতে বার্ষিক পর্যালোচনার কারণে বড় দূষণকারীদের ওপর কিছুটা চাপ বাড়বে।

এ ছাড়া সুনির্দিষ্টভাবে আরও কয়েকটি ঘোষণা এসেছে, সেগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে কার্বনসহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস উদ্?গিরণ কমানোর লক্ষ্যে বন উজাড়করণ বন্ধ, মিথেন গ্যাস উদ্গিরণ বন্ধ এবং নেট জিরো (ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন যতটা হবে, বায়ুমণ্ডল থেকে ততটাই অপসারণ করে ভারসাম্য আনা) অর্জনে বেসরকারি অর্থায়নের ব্যবস্থা করা। গতকাল কপ সভাপতি অলোক শর্মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, গ্লাসগো সম্মেলনের আগে নেট জিরোর লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল ৩০টি দেশ, যার সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৯০টিতে।

সম্মেলনে যা অর্জিত হয়নি, সেগুলোরও উল্লেখ পাওয়া যায় জাতিসংঘ মহাসচিবের বিবৃতিতে। এগুলো হলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি বন্ধ করা, কয়লার অবসান, ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীগুলোর প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় ১০ হাজার কোটি ডলার অর্থায়নের অঙ্গীকার পূরণ।

শীর্ষ দূষণকারী শিল্পোন্নত দেশগুলো এবং কম দূষণকারী কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট সম্মেলনের পুরোটা সময় জুড়ে শোনা গেছে। ধনী দেশগুলো কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানি দেদার ব্যবহার করে জলবায়ুর যে ক্ষতি করেছে, তার ঐতিহাসিক দায় গ্রহণ না করলেও গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে ক্ষতিকর গ্যাস উদ্?গিরণ বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। ন্যায়বিচারের প্রশ্নটি তাই অনিষ্পন্ন থেকে যাচ্ছে।

এ ধরনের বহুজাতিক কাঠামোয় জরুরি অবস্থা মোকাবিলাও কঠিন সংগ্রামের বিষয়। সে কারণেই সম্মেলনে প্রতিনিধিদের অনেকেই বলেছেন, তারা লড়াইটা আগামী জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) মিসরের শারম-আল শেখে নিয়ে যাবেন। আর জাতিসংঘের মহাসচিব এক টুইটে তরুণদের উদ্দেশে বলেছেন, লড়াইয়ে তিনি তাদের সঙ্গে আছেন।

কী আছে জলবায়ু চুক্তিতে: গ্লাসগোয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৬ শেষ হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহের আলোচনার পর অসন্তোষ থাকলেও শেষ মুহূর্তে মতৈক্য হয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে কথা: গ্লাসগো চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেশগুলোকে আগামী বছরের মধ্যে শক্তিশালী পরিকল্পনা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণের সুনির্দিষ্ট মাত্রা ঠিক করে দিতে ব্যর্থ হয়েছে গ্লাসগো সম্মেলন।

এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা না গেলে সমুদ্রসীমার উচ্চতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে খরা, ঝড় ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও। কপ-২৬-এর চেয়ারম্যান ও ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা বলেন, ‘আমরা যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারি, তবেই নিজেদের রক্ষা করতে পারব।’

কয়লার ব্যবহার নিয়ে অসন্তোষ: এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের বিষয়ে জোর দিতে সফল হননি আলোচকেরা। বরং শেষ মুহূর্তে এই বিষয়ে ছাড় দিয়ে কয়লার ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমানো বা ‘ফেজ ডাউন’ করার ভাষাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগের খসড়ায় তা বন্ধ করা বা ‘ফেজ আউট’ করার কথা ছিল। ভারতের পক্ষ থেকে এ পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এমন পরিবর্তনে অসন্তোষ জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ।

ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিরোধ: ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে জলবায়ু তহবিলে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। ফলে অনেক উন্নয়নশীল ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অভিযোজন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পিছিয়ে রয়েছে। গ্লাসগোর চূড়ান্ত চুক্তিতে ২০২৫ সালের মধ্যে ধনী দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিলে বরাদ্দের পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

কার্বন নিঃসরণের দায়: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গরিব ও উন্নয়নশীল দেশগুলো। তবে বেশি বেশি কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে এর পেছনে দায়ী ধনী ও শিল্পোন্নত দেশগুলো। চূড়ান্ত চুক্তিতে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ও কোম্পানিগুলোকে দায় মেটাতে অর্থায়ন করতে বলা হয়েছে। এসব অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোয় বনের ধ্বংস ঠেকানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গৃহীত নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় করা হবে।

আরও নানা চুক্তি: গ্লাসগোয় মূল সমঝোতার বাইরে আরও কয়েকটি চুক্তি সবার নজর কেড়েছে। এবারের সম্মেলনে জাতিসংঘ ও ইউনিয়নের নেতৃত্বে প্রায় ১০০টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন গ্যাসের নির্গমন গত বছরের মাত্রার তুলনায় ৩০ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন জলবায়ু পরিবর্তন রোধে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা গ্যাসোলিনচালিত গাড়ি উৎপাদন বন্ধ, আকাশপথে ভ্রমণে কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং বন রক্ষার মতো টেকসই উদ্যোগে অর্থ লগ্নি না করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

জলবায়ু বিপর্যয়ের দরজায় কড়া নাড়ছি আমরা: যারা গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তিতে স্বাগত জানিয়েছেন তারাও বলেছেন, এখনও এ নিয়ে অনেক কাজ বাকি আছে। গ্লাসগো চুক্তির পর এক বিবৃতিতে গুতেরেস চুক্তির ত্রুটিগুলো স্বীকার করেছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, কপ-২৬-এর ফলাফল হলো একটি সমঝোতা, যা আজকের বিশ্বের স্বার্থ, দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক ইচ্ছার অবস্থা প্রতিফলন করে।

জাতিসংঘ মহাসচিব সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমাদের নাজুক বিশ্ব সুতার ওপর ঝুলছে। আমরা এখনও জলবায়ু বিপর্যয়ের দরজায় কড়া নাড়ছি।’

সুইডিশ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ জলবায়ু চুক্তি নিয়ে আরও কড়া সমালোচনা করেছেন। তার ভাষ্য, প্রকৃত কাজ হয়েছে সম্মেলনস্থলের বাইরে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা কখনও হাল ছাড়ব না।’ সম্মেলন চলাকালে থুনবার্গসহ অন্য পরিবেশকর্মীরা অভিযোগ করেন, বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তব পদক্ষেপের কোনো মিল নেই।

ইউরোপীয় কমিশনের বলেছে, চুক্তিটি ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতাকে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করার সুযোগ দিয়েছে।

করণীয়: উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এরই মধ্যে দেশে নানা দুর্যোগ প্রতি বছর জনগণকে পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য জনগণ ও সরকারের অনেক বেশি কর্তব্য রয়েছে।

প্রথমত, আমাদের দেশের মানুষকে জানাতে হবে জলবায়ুগত দূষণের ফলে দেশ ও জনগণ কীভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। মানুষকে সতর্ক করতে হবে। প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণে তৈরি করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, সব কারণে গবেষক কর্তৃক প্রয়োজনীয় কর্তব্য নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ ‘সেল’ গঠন করতে হবে। সেই সেল থেকে নিয়মিত সতর্কতা ও করণীয় পরামর্শ সরকার ও দেশবাসীকে দিতে হবে।

তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক বড় বড় শক্তির কার্যকরণে জলবায়ুগত পরিবর্তন দেশে দেশে ঘটছে। তারই প্রভাবে আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা প্রভৃতি নিয়মিত হচ্ছে। তাতে দেশের সম্পদ ও মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। সেই ক্ষতি পূরণের জন্য চাহিদাপত্র তৈরি করে আন্তর্জাতিক ফোরামে নিয়মিত উপস্থাপন করে আদায় করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে তার ক্ষতি অর্থ সহজে ও স্বল্প সময়ে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কপ-২৬-এ গৃহীত পদক্ষেপগুলো কীভাবে আমাদের দেশে কার্যকর হবে, তার ব্যবস্থা এখন থেকে দ্রুত গ্রহণ করা প্রয়োজন। শুধু ধনী দেশগুলোর ওপর নির্ভর না করে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যরে ওপর বিশ্বাস রেখে অগ্রসর হতে হবে।

জলবায়ু-সংক্রান্ত নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য আমাদের বনায়নে অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে। প্রতিবছর পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শুধু বৃক্ষ রোপণ দিবস পালন করে বসে থাকলে চলবে না, বাস্তবায়নে আরও বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হবে। আমাদের জনসংখ্যা ও জমি অনুযায়ী বনায়ন অনেক কম। তাই জলবায়ু পরিবর্তনে দেশের নানা বিপর্যয় নেমে আসে। অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা প্রভৃতি বনায়নে ভূমিকা রাখে।

তাছাড়া নদী এলাকায় ও দ্বীপ অঞ্চলের ভাঙন রোধের জন্য ব্যাপক বনায়ন সৃষ্টি জরুরি। সরকার প্রতি বছর ঘটা করে বৃক্ষ রোপণ দিবস পালন করে দেশবাসীকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। বৃক্ষরোপণের ফলে দেশের জমি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার কথা বলা চলে। সন্দ্বীপের পশ্চিম ও উত্তর ভাগ দিয়ে শত শত একর জমি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগ হয়েছে। সেখানে সরকার রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে। অচিরে সন্দ্বীপে একটি আধুনিক রপ্তানি অঞ্চল সৃষ্টি হচ্ছে, যা সরকারের ১০০ রপ্তানি অঞ্চলের একটি হবে।

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

আইএফআইএল, আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম

aqhaider@youthgroupbd.com