ড. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা: মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে দুনিয়ায় পাঠিয়ে, দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন, আর সঙ্গে দিয়েছেন জীবনবিধান (কিতাব)। শেষ নবী ও রাসুল হজরত মোহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় এসেছেন মানবজাতির কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য, যাঁর ওপর নাজিল করা হয়েছে আল-কোরআন। এই কোরআনে মানবজাতির সব দিক বর্ণিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য এবং ধনী ও গরীবের বৈষম্য দূর করার জন্য জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি কায়েম করতে আল-কোরআনে ৮২ বার ‘জাকাত’ শব্দটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসেছে। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ দুটি শ্রেণিতে বিভক্তÑধনী ও দরিদ্র। আর্থ-সামাজিক কল্যাণসাধনের লক্ষ্যে এবং দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে জাকাতের বিধান ফরজ করা হয়েছে। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে জাকাত হলো তৃতীয়। ইমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হলো সালাত ও জাকাত। ধন-সম্পদের যে নির্ধারিত অংশ শরিয়তের বিধান মোতাবেক আল্লাহর পথে ব্যয় করা মানুষের ওপর ফরজ করা হয়েছে, তাকেই জাকাত বলে। (ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ২১তম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৪৭৫)। ‘জাকাত’ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা, ক্রমবৃদ্ধি, আধিক্য ও প্রশংসা। পারিভাষিক অর্থে জাকাত হলো ইসলামি শরিয়াহ্ কর্তৃক নির্ধারিত নিছাব পরিমাণ মালের নির্দিষ্ট অংশ নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করা। জাকাত প্রযোজ্য হয় এমন সম্পদসমূহ হলোÑনগদ টাকা, সোনা, রুপা, সব ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য, গবাদি পশু ও নির্দিষ্ট কৃষিপণ্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করার পর সেখানে জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত হয় মদিনা মুনাওয়ারা। খলিফা উমার (রা.) আমলে জাকাত বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এতটাই সমৃদ্ধি লাভ করে যে, জাকাত নেয়ার মতো কোনো মানুষ পাওয়া যেত না। খলিফা উমার বিন আবদুল আজিজ (র.)-এর আমলেও এরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে ছিল। পূর্ববর্তী নবীগণের ওপরও জাকাত আদায়ের বিধান ছিল। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো জাকাত না দেয়ার কারণে কারুন ধ্বংস হয়েছিল। আধুনিক যুগে ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিকশিত হয় মূলত অর্থনৈতিক কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে। সেই কল্যাণের পূর্ণতা লাভের আশায় ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার উদ্ভব হয় ষাটের দশকে। ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা। সেই লক্ষ্যে ইসলামিক ব্যাংকগুলো তাদের রক্ষিত বিভিন্ন তহবিলের ওপর জাকাত আদায় করে। ফলে জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি বাস্তবায়নে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এই প্রবন্ধে ইসলামিক ব্যাংকগুলো কী পরিমাণ জাকাত আদায় করে, তার একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় জাকাত আদায়
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক সরকারের আমলে ১৯৮২ সালের ৫ জুন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ‘জাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ এক অধ্যাদেশ বলে জাকাত ফান্ড গঠন করে এবং এ ফান্ড পরিচালনার জন্য ওই অধ্যাদেশে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাকাত বোর্ড গঠন করা হয়। ওই অধ্যাদেশ বিলুপ্ত করে জাকাত ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলা দিতে বর্তমান সরকার দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কমিটি করে স্থানীয়ভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের বিধান রেখে ‘জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল-২০২২’ পাস করেছে। দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, এ বছর বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০ কোটি টাকা জাকাত আদায়ের টার্গেট নিয়েছে, যা গত বছর ছিল ১০ কোটি, যা সমাজের দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ব্যয় করা হয়। বাংলাদেশের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এ পরিমাণ অতি সামান্য। জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। কারণ জাকাত আদায়ের মূল দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের। তাই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় জাকাত আদায় ও ব্যয়ের মাধ্যমে সমাজের প্রকৃত অর্থনৈতিক কল্যাণ সাধন করা সম্ভব।
আল-কোরআন ও হাদিসে জাকাত বিধান
আল-কোরআনে ৮২ বার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাকাত আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। কোরআনের ১৮টি সুরার ২৯টি আয়াতে জাকাত শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। তা মধ্যে ৯টি মাক্কি ও ৯টি মাদানি সুরা। কোরআনে ‘জাকাত’ শব্দ দ্বারা ৩০ বার, ‘ইনফাক’ শব্দ দ্বারা ৪৩ বার এবং ‘সাদাকাত’ শব্দ দ্বারা ৯ বার এসেছে। ২৭টি আয়াতে ‘সালাত’-এর সঙ্গেই ‘জাকাত’ শব্দ এসেছে। কোরআন ও হাদিসের অনেক স্থানে ‘জাকাত’-কে ‘সাদাকাহ্’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। জাকাত ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোরআনের দলিল হলো ‘আমি যদি তাদের পৃথিবীতে রাজত্ব দান করি, তাহলে তারা সালাত কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে, আর সব কাজের চূড়ান্ত পরিণতি একান্তই আল্লাহর ইচ্ছাধীন (সুরা হাজ্জ: ৪১)। জাকাত কাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে, সে ব্যাপারে মহান আল্লাহ সুরা তওবার ৬০নং আয়াতে আটটি খাত উল্লেখ করেনÑ‘নিশ্চয়ই সদকাহ্ (জাকাত) হলোÑফকির, মিসকিন, জাকাত আদায়কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্য এবং মুসাফিরদের জন্য, এই হলো আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’
ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, আবু সুফইয়ান (রা.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদিস উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত (প্রতিষ্ঠা করা), জাকাত (আদায় করা), আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ও পবিত্রতা রক্ষা করার আদেশ দেন। (বুখারি শরিফ-১৩৯৫)
ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় জাকাত আদায়
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. ৮৯,৪৯,১৩,৯৬৪ ৮১,৭৪,৯৭,৬২৯
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লি. ১৮,১৩,৮৪,০৮৩ ১৬,৫৬,৯৪,৩৪১
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লি. ১৭,৯৮,৭০,৪০৭ ১৬,০৯,৮২,৫৪২
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১৭,৪২,৪৪,৫৫৫ ১২,৬৫,৪৪,৮৫৪
এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক বাংলাদেশ লি. ১৩,৪০,০০,০০০ ২৯,৮৯,৬৫,৫৭৭
ইউনিয়ন ব্যাংক লি. : ৫,৫০,০০,০০০ ৪,৪০,০০,০০০
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লি. ৪,৬২,১৪,২৩১ –
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লি. ১,৬৮,৪১,৮৪০ –
মোট টাকা ১৬৮,২৪,৬৯,০৮০ ১৬১,৩৬,৮৪,৯৪৩
তথ্যসূত্র: ইসলামি ব্যাংকগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০২১
অঅঙওঋও-র (ঝযধৎর’ধয ঝঃধহফধৎফ ঘড়. ৩৫) নির্দেশাবলি, শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশাবলি অনুযায়ী ইসলামি ব্যাংকগুলো শেয়ার প্রিমিয়াম, বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি, সংরক্ষিত আয় এবং লভ্যাংশ সমতাকরণ হিসাবের সমাপনী ব্যালেন্সের ওপর ২.৫৮ হারে জাকাত আদায় করে (২ দশমিক ৫০ শতাংশের পরিবর্তে, যেহেতু ব্যাংক সৌর বছর হিসাবে হিসাব সংরক্ষণ করে)। বাংলাদেশ ব্যাংকের ০৯-১১-২০০৯ তারিখের বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৫ ‘ইসলামিক ব্যাংকিং নীতিমালা’ এবং অঅঙওঋও-ও (ঋঅঝ- ৩৯ ‘ঋরহধহপরধষ জবঢ়ড়ৎঃরহম ভড়ৎ তধশধয’) নির্দেশাবলি অনুসারে জাকাত ব্যাংকের লাভ-ক্ষতি হিসাবে হিসাবভুক্ত করা হয়। জনগণের আমানতসমূহ ও পরিশোধিত মূলধনের ওপর ব্যাংক জাকাত আদায় করে না, যেহেতু এর ওপর জাকাত আদায় করা যথাক্রমে আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দের দায়িত্ব।
শেয়ার প্রিমিয়াম (ঝযধৎব চৎবসরঁস): অবিক্রীত রাইট শেয়ার বাজারমূল্যে বেশি দামে বিক্রির ফলে শেয়ার প্রিমিয়াম খাতে টাকা জমা হয়, যা কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ধারা ৫৭ অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে।
বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি (ঝঃধঃঁঃড়ৎু জবংবৎাব): ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১-এর ধারা ২৪ অনুযায়ী, প্রতি বছর করপূর্ব নিট মুনাফার কমপক্ষে ২০ শতাংশ বা তার বেশি বিধিবদ্ধ সঞ্চিতিতে স্থানান্তর করা হয়।
সংরক্ষিত আয় (জবঃধরহবফ ঊধৎহরহমং): সংরক্ষিত আয় হলো একটি কোম্পানির সমস্ত প্রত্যক্ষ খরচ, পরোক্ষ খরচ, আয়কর এবং শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়ার পর যে পরিমাণ মুনাফা অবশিষ্ট থাকে।
লভ্যাংশ সমতাকরণ হিসাব (উরারফবহফ ঊয়ঁধষরুধঃরড়হ অপপড়ঁহঃ): প্রতিবছর কোম্পানির নিট মুনাফার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ লভ্যাংশ প্রদান করার পর মুনাফার বাকি অংশ রক্ষিত আয় বিবরণী এবং এর কিছু অংশ পরবর্তী বছরগুলোতে সমানভাবে লভ্যাংশ প্রদান করার জন্য যে তহবিল গঠন করে, তাকে লভ্যাংশ সমতাকরণ হিসাব বলে।
মানবজাতির অর্থনৈতিক মুক্তির প্রধানতম দিক হলো জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি বাস্তবায়ন করা। ইসলামের আর্বিভাবের পর হতে কোরআন ও হাদিসের আলোকে চার খলিফাহ ও পরবর্তী খলিফাহর খিলাফতকালে যেভাবে জাকাত আদায় ও বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ থেকে সব ধরনের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনেছিলেন, তদ্রƒপ বর্তমান সময়ে মুসলিম সরকারগুলো সরকারিভাবে যদি সেভাবে জাকাত আদায় ও বণ্টন ব্যবস্থার প্রচলন করে, তা হলে সমাজ থেকে সব ধরনের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে যে কোনো দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা যদি শরিয়াহ্ভিত্তিক হয় তাহলে পুরোপুরি অর্থনৈতিক কল্যাণ লাভ করা সম্ভব। বাংলাদেশে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক কাজ করছে। ইসলামিক ব্যাংকগুলো ইসলামি শরিয়াহ্ বিধি মোতাবেক তাদের বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষিত আয় বা সঞ্চিতির ওপর জাকাত আদায় করে থাকে। ১০টি ইসলামি ব্যাংকের মধ্যে আটটি ইসলামি ব্যাংকের ২০২০ সালে জাকাত আদায়ের পরিমাণ হলো ১৬১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৩ টাকা। ২০২১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ধারায় ১৬৮ কোটি ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮০ টাকা।
পুরো ব্যাংক খাত সেক্টর শরিয়াহ্ নীতিমালা অনুসারে পরিচালিত হলে জাকাত আদায়ের পরিমাণ কত হতো, তা হিসাবের দাবি রাখে। এ থেকে আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, জাকাতভিত্তিক অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্য দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ইসলামি শরিয়াহ্র আলোকে পরিচালিত করতে হবে এবং সঠিকভাবে জাকাত আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে জাকাত আদায় করার দায়িত্ব সরকার বা রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত আদায় ও বণ্টনের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বেকারত্ব হ্রাস, সমাজে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুখী ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে জাকাতভিত্তিক অর্থনীতির বিকল্প নেই।
কর্মকর্তা
শরিয়াহ্ সেক্রেটারিয়েট
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড