Print Date & Time : 9 September 2025 Tuesday 6:31 pm

জাতিসংঘের বীজ সূচকে শীর্ষ দশে বাংলাদেশি কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘের বীজ সূচকের আঞ্চলিক তালিকায় শীর্ষ ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি কোম্পানি রয়েছে। ওয়ার্ল্ড বেঞ্চমার্ক অ্যালায়েন্স ও ইউনাইডেট নেশন ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এ সূচকে বাংলাদেশের লাল তীর সিডস লিমিটেড শীর্ষ সাতে রয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সপ্তম অবস্থানে এসেছে লাল তীর সিডস লিমিটেড। আর ব্র্যাক সিডস অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজ রয়েছে ১৩তম স্থানে।

২০১৯ সালের পর ২০২১ সালে অ্যাকসেস টু সিড ইনডেক্স প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড বেঞ্চমার্ক অ্যালায়েন্স ও ইউনাইডেট নেশন ফাউন্ডেশন। প্রতিবেদন তৈরিতে ছয়টি সূচকের ব্যবহার করা হয়েছে। সূচকের মধ্যে রয়েছেÑসক্ষমতা তৈরি, মার্কেটিং ও সেলস, বীজ উৎপাদন, গবেষণা ও উন্নয়ন, জেনেটিক রিসোর্স অ্যান্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট, সুশাসন ও কৌশল। এ ছয়টি সূচকের ওপর ১০০ নম্বর করা হয়েছে। সেখানে লাল তীর সিডস পেয়েছে ৫৯ দশমিক ২ নম্বর। আঞ্চলিকভাবে কোম্পানিটির সার্বিক অবস্থান সপ্তম হলেও বীজ উৎপাদনে লাল তীরের অবস্থান তৃতীয়। মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসে চতুর্থ। গবেষণা ও উন্নয়ন এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে লাল তীর। প্রতিষ্ঠানটির জেনেটিক রিসোর্স অ্যান্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট, সুশাসন ও কৌশলে একটু পিছিয়ে থাকায় সার্বিক অবস্থান সপ্তমে এসেছে। তবে সামনের দিনে এ দুটি বিষয়ে উন্নয়ন করা সম্ভব হলে কোম্পানিটি আঞ্চলিকভাবে শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করতে পারবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লাল তীর সিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আনাম বলেন, গত কয়েক দশক ধরে দেশের বীজ শিল্পের উন্নয়নে যে অবদান লাল তীর রেখেছে তার স্বীকৃতি এটা। বৈশ্বিকভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা লাল তীরের জন্য কৃষকের আস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে ভালো বীজের জন্য উদ্ভাবন, গবেষণা ও সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে লাল তীর।

বীজ সূচকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাল্টিমোড গ্রুপের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠান লাল তীর সিডস লিমিটেড ১৯৯৫ সালে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। যার আগের নাম ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট সিড বাংলাদেশ লিমিটেড। এটি মূলত ইস্ট-ওয়েস্ট সিডের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৭ সালে লাল তীর সিড নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১০ সাল থেকে ধান বীজের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।