জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৪৩৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু ও ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৪ জনে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ২৪২ জন ভর্তি হয়েছেন।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৪২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২২১ জন এবং ঢাকার বাইরের রয়েছেন ২১ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ৮৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৮২৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমোট ৭২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট পাঁচ হাজার ৪৩৪ জন। একই সময় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছে চার হাজার ৫১৬ জন। একই সঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআর এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর পর্যালোচনা সমাপ্ত করেনি এবং কোনো মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত কারণে কি নাÑতা নিশ্চিত করেনি।

অপরদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেছেন, গত মার্চে আমাদের সিডিসির পরিচালক সবগুলো পৌরসভাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন এবারের প্রকোপ বেশি হবে। কাজেই মশা নিধন করা দরকার, সেটা যেন করা হয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দেশের করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খুরশিদ আলম বলেন,  ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে সচেতনতা তৈরি করার দরকার, সেটা আমরা করেছি। আমরা বারবার সিটি করপোরেশনগুলোকে জানিয়েছি যে, মশার উৎপত্তি স্থলগুলোকে আপনারা ধ্বংস করুন। চিকিৎসা দেয়া আমাদের কাজ সেটা আমরা দেব, কিন্তু ডেঙ্গু যাতে না হয় সেই ব্যবস্থাটা আপনারা নিন।’

কভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতাল শয্যা বাড়ানো প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘এভাবে চললে আসলেই আমরা সামাল দিতে পারব না। যতই সক্ষমতা বাড়াই না কেন, হাসপাতালে আর বেড বাড়ানো সম্ভব হবে না। কভিডের চেয়ে আমাদের নন কভিড রোগীর সংখ্যা কিন্তু অনেক বেশি। তাদের আমরা জায়গা দিতে পারছি না। তারা অনেক ভোগান্তিতে আছেন। সেসব কথা মাথায় রেখে আমাদের সাবধান হতে হবে।’

খুরশিদ আলম আরও বলেন, ‘একটা কথা সবসময় আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমাদের সক্ষমতা কতটুকু এবং আমরা কতটুকু করতে পারি। আমরা হাসপাতাল করেছি প্রয়োজনে, কিন্তু আমাদের রোগের উৎপত্তির জায়গা যেন বন্ধ করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ডিএনসিসিতে এক হাজার শয্যার কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল তৈরি করেছি। অতি সম্প্রতি বঙ্গমাতা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি জিনিসেরই একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদেরও রয়েছে। এর বাইরে গিয়ে আর  হাসাপাতালে শয্যা বাড়ানো সম্ভব হবে না।’