শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক বৈঠক গতকাল বৃহস্পতিবার সিউলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আট বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উচ্চস্তরের এই অর্থনৈতিক আলোচনা হয় দুই দেশের। খবর: ইউএস নিউজ।
সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই আলোচনা প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। তবে ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সালে জাপানের কোরিয়া দখলের একটি ঐতিহাসিক বিরোধ নিয়ে নতুন করে উত্তেজনার কারণে দুই উত্তর এশীয় মার্কিন মিত্রদের মধ্যে বৈরিতা দেখা দিলে ২০১৬ সালে তা স্থগিত হয়। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইউন সুক ইওল দায়িত্ব নিলে টোকিওর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সিউলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাং জায়ে-কোয়ান এবং জাপানের জ্যেষ্ঠ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেইচি ওনো। এ সময় দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতার মূল্যায়ন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নীতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সালে জাপানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা মানুষদের দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোর ক্ষতিপূরণ দেয়া হব বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিরীক্ষণে সহায়তা করার জন্য জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ওয়াশিংটন একটি
রিয়েল-টাইম ক্ষেপণাস্ত্র ডেটা-শেয়ারিং সিস্টেম চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ-প্রযুক্তি সামগ্রীর ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর জুলাইয়ে ফাস্টট্র্যাক বাণিজ্য রপ্তানির জন্য দেশটিকে ‘সাদা তালিকা’-ভুক্ত করেছে জাপান। তা সত্ত্বেও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের টানাপড়েন অব্যাহত রয়েছে। যেমন সিউলের ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা থেকে উদ্ভূত সামুদ্রিক খাবারের ওপর দশকব্যাপী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।