নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাপান থেকে এখন আমাদের দেশে আরও বেশি বিনিয়োগ দরকার। দুই দেশের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি বিনিয়োগও বাড়াতে হবে।
গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) শীর্ষক জরিপের ফল উপস্থাপন বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাপানিরা তাদের জরিপে দেখিয়েছে, ৮৫ শতাংশ কোম্পানি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চায়। আমরাও আমাদের দিক থেকে গবেষণা করব। দুই দেশের মধ্যে যেটা উইন উইন (লাভজনক) হয়, আমরা সে রকম সিদ্ধান্ত নেব।
অনুষ্ঠানে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অরগানাইজেশন ঢাকার ডিরেক্টর ইউজি আন্দো তার জরিপের ফল উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, মোট ৩০০টি কোম্পানি তার জরিপে অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪২টি জাপানি কোম্পানি রয়েছে, যারা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অন্যদিকে জরিপে অংশ নেয়া বাংলাদেশি কোম্পানি রয়েছে ১৫৫টি, যারা জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সদস্য। এছাড়া তিনটি বহুজাতিক কোম্পানি জরিপে অংশ নেয় এবং তারাও জেবিসিসিআইয়ের সদস্য। জরিপের ৮৫ শতাংশ কোম্পানি জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে এফটিএ’র আশা করে।
এদিকে জিএসপি সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে ২০ শতাংশ কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম সরিয়ে ভারত ও অন্যান্য আসিয়ানভুক্ত দেশে নিয়ে যেতে চায়, অথবা বাংলাদেশে তাদের উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়; কারণ ভারত ও আসিয়ানভুক্ত অনেক দেশের সঙ্গে জাপানের এফটিএ রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের চেয়ে সেসব দেশে কোম্পানিগুলোর জন্য খরচের পরিমাণ কম হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেবিসিসিআই’র সম্পাদক তারেক রফি ভুইয়া জুন। এতে এফটিএ বা ইপিএ’র সুফল নিয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, জেবিসিসিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মতিউর রহমান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও মাসরুর রিয়াজ, জাপান কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ইন ঢাকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মিউঙ্গো লি, জেবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শরিফুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আখতার প্রমুখ।