নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধসহ সব ‘অশ্লীলতা’ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। একইসঙ্গে দেশবাসীর প্রতি মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। দেশবাসীকে কোরআনের শিক্ষার আলোকে সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পবিত্র রমজান মাসকে প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করার জন্যও আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
শফিকুর রহমান বলেন, জাতি এমন এক সময় পবিত্র মাহে রমাদান পালন করতে যাচ্ছে যখন দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা জালিমের হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশের জনগণ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। দেশের নাগরিকরা ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক মানবাধিকার ফিরে পাবার প্রত্যাশায় আছে। অন্যদিকে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। শান্তি-স্বস্তির নতুন বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ইফতারি সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি করার সুযোগ যেন না পায় সেদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীদের সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। দরিদ্র লোকরা যেন পবিত্র মাহে রমাদানের সিয়াম অনায়াসে পালন করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল, ডাল, তেল, মাছ, গোশত, তরিতরকারি, চিনি, খেজুর, ছোলা, মুড়ি ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। জামায়াত আমির বলেন, ‘দিনের বেলা হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধসহ সকল অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সেই সঙ্গে দেশবাসীকে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের শিক্ষার আলোকে সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পবিত্র রমাদান মাসকে প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। পবিত্র মাহে রমাদান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আমাদের সামনে সমাগত। এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র লাইলাতুল কদর নামে একটি বরকতময় মহিমান্বিত রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাস তাকওয়া, সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস।’