প্রতিনিধি, যশোর: যশোরের নওয়াপাড়া নৌ বন্দরের দুটি লাইটার জাহাজ থেকে চুরি হওয়া ১২০ টন ডিএপি সারের মধ্যে ৮০ টন সার উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। চুরি হওয়া এসব সার উদ্ধারের ঘটনাকে পুলিশ বড় ধরনের সাফল্য বলে দাবি করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে যশোর ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার বলেন, মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি আমদানিকারক রপ্তানি প্রতিষ্ঠান চায়না থেকে আমদানিকৃত ১৩০০ মেট্রিক টন ডিএপি সার দুটি লাইটার জাহাজে করে মংলা বন্দর থেকে নওয়াপাড়া বন্দরে নিয়ে আসে।
এ সময় পথিমধ্যে নোঙর করার সময় জাহাজ দুটির মাস্টার, স্টকদের সহযোগিতায় একটি সঙ্ঘবদ্ধ চোর ১২০ মেট্রিক টন সার চুরি করে নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অভয়নগর থানায় মামলা করলে ডিবি পুলিশ অভিযানে নামে।
এ সময় পৃথক অভিযানে বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৯ জনকে আটক করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে ১৫৬৬ বস্তা ৭৯ টন সার উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। আটক সারের আনুমানিক মূল্যে ৭৯ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ টাকা বলে পুলিশ দাবি করে।
আটক আসামিরা হলেনÑযশোেের অভয়নগর থানার বাহিরঘাট গ্রামের নবাব আলী গোলদারের ছেলে হুমায়ুন কবীর, একই উপজেলার তেতুলতলা মসজিদসংলগ্ন গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন, ধোপাদি গ্রামের আবদুর রহিম মোড়লের ছেলে তরিকুল ইসলাম, ঝালকাঠি জেলার পিরোজপুর থানার তারাগুনিয়ার অমল শিকদারের ছেলে অনিমেষ শিকদার, খুলনার পাইকগাছা থানার কলমিগুনিয়া গ্রামের সুদান্য সরকারের ভপাল সরকার, পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ সজিব, একই জেলার ঝারকাঠি গ্রামের মৃত বিমল সরকারের ছেলে লিখন সরকার, কুমিরমারা গ্রামের মোবারক আলী সিকদারের ছেলে আক্কাস আলী সিকদার, বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার মেছর শাহ সড়কের আবুল কালামের ছেলে পারভেজ আহমেদ রাজু। আটক হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশ জানায়।