নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: শ্রমিক দুর্ঘটনার কারণে তিন মাস স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি বা স্থানীয় উৎস হতে সংগ্রহ থেকে বিরত থাকার জন্য চট্টগ্রামের খাজা শিপব্রেকিং লিমিটেডকে লিখিত নির্দেশনা দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়া) আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের খাজা শিপব্রেকিং লিমিটেডের ইয়ার্ডে গত ২৩ জুলাই এক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্ঘটনার কারণ ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে শিল্প মন্ত্রণালয় আগামী তিন মাস স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি বা স্থানীয় উৎস হতে সংগ্রহ থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানকে লিখিত নির্দেশনা দেয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়া) আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে গত মাসে শ্রমিকের মৃত্যু আর পরিবেশ সুরক্ষায় অবেহলার দায়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বার আউলিয়া এলাকায় জিরি সুবেদার স্টিল রি-রোলিং অ্যান্ড শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়া) আবুল খায়ের শেয়ার বিজকে বলেন, শ্রমিক দুর্ঘটনার কারণে তিন মাস স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি বা স্থানীয় উৎস হতে সংগ্রহ থেকে বিরত থাকার জন্য চট্টগ্রামের খাজা শিপব্রেকিং লিমিটেডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। আমি ছুটিতে আছি, তাই এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না।
আর চিঠিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টরা। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী অর্থবছর (২০১৮-১৯) ও গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস দিয়ে দেশের স্ক্র্যাপ জাহাজ ব্যবসায়ীরা ৪৬৪টি পুরোনো জাহাজ আমদানি করেছিলেন। ১০০টি প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা জাহাজগুলোর মোট ব্যয় ছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খাজা শিপব্রেকিং লিমিটেড ৬২ কোটি ২৩ লাখ টাকায় দুটি জাহাজ আমদানি করে। এতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস রাজস্ব আদায় করে দুই কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
