অমৃত চিছাম: শত প্রতিক‚লতা জয় করে বাংলাদেশ আজ নিন্ম আয়ের দেশ থেকে নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তাই দেশে প্রচলিত প্রতিটি অর্থনৈতিক খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি খাত বাদ দিয়ে অন্যটাকে কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব। দেশে আলোচিত কয়েকটি খাতের মধ্যে জাহাজ নির্মাণশিল্প যা অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ও ক্রমবর্ধমান শিল্প। তাই দেশে শিপবিল্ডিং সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ব্লু-ইকোনমি সঠিকভাবে বিকশিত হওয়া সম্ভব নয়। এখনই মোক্ষম সময় জাহাজ নির্মাণশিল্পের প্রতি গভীর মনোযোগ প্রদান করার। নদীমাতৃক এ দেশের অভ্যন্তরীণ সমুদ্র জলসীমার আয়তন ৯০০০ বর্গ কিমি। বর্তমানে প্রায় ছোট-বড় দশ হাজার অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্র উপক‚লীয় জাহাজ সারা দেশজুড়ে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কেননা বিশ্ব বাণিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগ বাণিজ্য সংঘটিত হয় সমুদ্রের মাধ্যমে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের রয়েছে ঈর্ষণীয় সোনালি অতীত। জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ আবার সেই গৌরবোজ্জ্বল অতীত ফিরিয়ে আনার পথে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের নির্মিত জাহাজ ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ বেশ উন্নত বলে ইউরোপে প্রশংসিত হয়েছে। যখন পালে চলা কাঠের জাহাজ সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিত সে সময় দেশে ছিল জাহাজ নির্মাণশিল্পের চরম উৎকর্ষের যুগ। বাংলাদেশের নদীমাতৃক ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে জাহাজের ব্যবহার ছিল বহুকাল আগেই। চৌদ্দ শতকে মরক্কোর পর্যটক ইবনে বতুতার যুদ্ধজাহাজ ও সৈন্য-সামন্তসমেত বাংলার বিভিন্ন বন্দরে আগমন করেছিলেন। মধ্যযুগে ইউরোপীয় পর্যটক সিজার ফ্রেডেরিক চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ শতকে বড় জাহাজ নির্মাণের একটি হাব ছিল বলে নথিভুক্ত করেছেন। মোগল শাসনামলে জাহাজ নির্মাণ আরও ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। ১৭ শতকে তুরস্কের সুলতানের জন্য যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জাহাজ নির্মাণ এলাকা ব্যবহার করেন। কাঠের যুদ্ধ জাহাজের পরিবর্তে লৌহ নির্মিত যুদ্ধজাহাজ তৈরি শুরু হয় উনিশ শতকের শেষ ভাগে। উনিশ শতক পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেবল ১০০০ টন ধারণক্ষমতার জাহাজ নির্মাণে সক্ষম ছিল। চট্টগ্রাম হতে নির্মিত জাহাজ সে সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যতরী হিসেবে রপ্তানি করা হতো। শুধু বাণিজ্যতরী নয়, রণতরী হিসেবেও চট্টগ্রামে তৈরি হওয়া জাহাজের বেশ সুনাম ছিল। স্পেনীয় রণতরীগুলো যখন ভ‚মধ্যসাগর, ভারত মহাসাগর এবং আটলান্টিক মহাসাগরে দাপিয়ে বেড়াত তখন সেই বহরে দেশে নির্মিত নৌযানের সংখ্যা ছিল উল্লেখ করার মতো। আর্মাড নামে পরিচিত স্পেনীয় ও ব্রিটিশ নৌবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী নৌযুদ্ধে চট্টগ্রাম নির্মিত বহু রণতরী স্পেনীয় বহরে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছিল, যা এখনও ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। বিশ শতকের প্রারম্ভে এবং পাকিস্তান আমলে সরকারি জাহাজ নির্মাণপ্রতিষ্ঠানগুলো জাহাজ নির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করে। আধুনিক যুগের শুরু থেকেই দেশে জাহাজ নির্মাণশিল্পের দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও স্থানীয়ভাবে তৈরি জাহাজ রপ্তানি করার মাধ্যমেই মূলত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাজ নির্মাণ একটি প্রগতিশীল শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ২০০শ’র মতো জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি রয়েছে যেগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ১৯৭৯ সালে বিশ্বখাদ্য সংস্থার অনুদানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ জলযান সংস্থার জন্য ৮টি খাদ্য বহনযোগ্য জাহাজ নির্মাণ করে বেসরকারি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ হাইস্পিড শিপইয়ার্ড। দেশে আনুমানিক ১০ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জাহাজ তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন প্রায় ১১টি শিপইয়ার্ড রয়েছে। এগুলো হলোÑআনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড সিøপওয়েজ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, খুলনা শিপইয়ার্ড, কর্ণফুলী সিøপওয়ে, হাইস্কিড শিপবিল্ডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, ঢাকা ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, চিটাগাং ড্রাইডক, নারায়ণগঞ্জ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড শিপবিল্ডিং, চিটাগাং শিপইয়ার্ড এবং বসুন্ধরা স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। বর্তমানে আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড সিøপওয়েজ লিমিটেড এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মতো জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক জাহাজ বিনির্মাণে আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করছে। ২০০৮ সালে ডেনমার্কে অত্যাধুনিক কনটেইনার জাহাজ ‘স্টেলা মারিস’ রপ্তানির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জাহাজ রপ্তানির স্বর্ণদ্বার উম্মোতি হয়। আর এ সফলতার পেছনে যে প্রতিষ্ঠানের নাম না বললেই নই, তা হলো আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড সিøপওয়েজ লিমিটেড। এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের জন্য ৩৬৫টি জলযান নির্মাণ করেছে আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড সিøপওয়েজ লিমিটেড। এর ফলে বাংলাদেশ জাহাজ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রেও স্থান করে নেয়। বেসরকারি খাত হিসাবে এটিই বাংলাদেশের সর্রবৃহৎ জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাহাজ রপ্তানি করা হচ্ছে। এছাড়া ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ থেকে দুটি জাহাজ রপ্তানি হয়। ভারতের ‘জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস’ নামের প্রতিষ্ঠান জাহাজ দুটি ক্রয় করে চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড থেকে। এই দুটি জাহাজ ছিল বাংলাদেশে নির্মিত সবচেয়ে বড় জাহাজ। দুটি জাহাজই আট হাজার টন পণ্য পরিবহনক্ষমতার। তাছাড়া ওই প্রতিষ্ঠান ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ৩৪টি জাহাজ রপ্তানি করেছে। বর্তমানে পৃথিবীর মধ্যে জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীন সবার শীর্ষে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাহাজ নির্মাণশিল্পে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪ নাম্বার। জাহাজ নির্মাণশিল্পে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি চীন, কোরিয়া এবং জাপানের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু দক্ষতার দিক দিয়ে এদেশের শ্রমিকরা অন্যদেশ থেকে বহুগুণ এগিয়ে আছে। আন্তর্জাতিক বাজার বিবেচনায় বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজের নির্মাণব্যয় সর্ববৃহৎ জাহাজ নির্মাণকারী দেশ চীনের তুলনায় ১৫% কম। আন্তর্জাতিক বাজারে জাহাজ নির্মাণশিল্পে ২০০ বিলিয়ন ডলারের শতকরা দুই ভাগ অর্ডার পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণশিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। সম্প্রতি জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা (আইএমও) এর জারিকৃত আইএসপিএস কোডের কারণে ২৫ বছরের বেশি পুরোনো জাহাজগুলো আগামী বছর থেকে চলাচল করতে পারবে না। আইএমও দেয়া নির্দেশনার ফলে কেবল ইউরোপীয় দেশগুলোতেই কিছুদিনের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার নতুন জাহাজ অকেজো হয়ে পড়বে ও এর বিকল্প হিসেবে নতুন জাহাজ সংযুক্ত করতে হবে। আর এ জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশই হতে পারে অন্যতম বিকল্প। কারণ বিশ্বের অন্যতম জাহাজ নির্মাণকারী দেশ চীন, ভিয়েতনাম, ভারতের সবগুলো শিপইয়ার্ড আগামী ৫ বছরের জন্য বুকড হয়ে আছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার খুলে যেতে পারে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার দেয়া তথ্য মতে, বিশ্বের জাহাজ নির্মাণ বাজারের মোট পরিমাণ ১৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদি বাংলাদেশ মাত্র ১% অর্জন করতেও সক্ষম হয় তবে তা হবে ১৬ বিলিয়ন ডলার এবং যদি বিশ্বের ছোট জাহাজ নির্মাণ বাজারের শতকরা এক ভাগও নিজেদের কবজিতে নিতে পারে, তবে তার পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে দেশের প্রধান দুটি শিপইয়ার্ড আনন্দ শিপইয়ার্ড ও ওয়েস্টার্ন মেরিন ৪১টি ছোট আকৃতির নৌযান তৈরির জন্য ইউরোপীয় ক্রেতাদের সঙ্গে ০.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। পরিসংখ্যান হতে দেখা যায়, আপাতত বিশ্বে ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির নৌযানের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১০ হাজারের বেশি। বিশ্ব বাজারে ছোট ও মাঝারি নৌযানের চাহিদা থেকে এটি সহজেই অনুমেয় বাংলাদেশের জন্য কী পরিমাণ সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। বাংলাদেশ ছোট ও মাঝারি কার্গো জাহাজ, তেলবাহী জাহাজ, এমনকি ১৫ হাজার টন বা ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ তৈরি করার সক্ষমতাও সংরক্ষণ করে। স্থানীয় জাহাজ নির্মাণকারী এবং ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকগুলো এ খাতে ৯ শতাংশ সুদে বাণিজ্যিক ঋণ বিতরণ করছে। জাহাজ নির্মাণশিল্পের মতো দীর্ঘমেয়াদি খাতে এ ধরনের সুদহার বোঝা। সুদের হার আরও কিছুটা কমানো গেলে ওই শিল্পের বিকাশ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। যা আমাদের জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। তবে এখন সময় এসেছে জাহাজ নির্মাণশিল্পে সুদের হার কমিয়ে আরও নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করার। এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জাহাজ এক্সপোর্ট হয়েছে। বর্তমানে জাহাজ নির্মাণশিল্প থেকে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে, যা ২০২৬ সালে দাঁড়াবে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারে। আমরা যদি আমাদের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ২০৪১ সালে ১ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। দেশে বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দক্ষ, আধা দক্ষ মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষাধিক কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার ফলে দেশের অর্থনীতির গতিও কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া দেশে জাহাজ নির্মাণশিল্পের প্রসারের ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, বেকারত্ব দূর হবে, লিঙ্গ-বৈষম্যের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিও মৃদ্ধ হবে। জাহাজ ভাঙা শিল্পে পরিবেশের ক্ষতি সাধন হলেও জাহাজ নির্মাণে পরিবেশের তেমন কোনো ক্ষতি সাধন হয় না। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল সুবিশাল সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় এখানে জাহাজ নির্মাণের অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে নদী-তীরবর্তী অঞ্চলে অনেক জায়গা আছে। তাই এ রকম একটি অনুক‚ল পরিবেশে বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণশিল্প একটি বৃহৎ শিল্পে পরিণত হবে সেইসঙ্গে অর্জিত হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। পরিশেষে বলা যায়, ভবিষ্যতে জাহাজ নির্মাণশিল্পের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে হাজারো মানুষের ভাগ্যের চাকা। সর্বোপরি ২০৩০ সালে এসডিজি বাস্তবায়ন ও রূপকল্প ২০৪১ বা বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাহাজ নির্মাণশিল্প গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে কাজ করবেÑ এটাই দেশের সব সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
শিক্ষার্থী
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
ত্রিশাল, ময়মনসিংহ
ধসৎরঃড়পযরপযধস৭৫৫৮২Ñমসধরষ.পড়স